গাজী শাহাদত হোসেন ফিরোজী, সিরাজগঞ্জ

  ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

সিরাজগঞ্জে আমনে উদ্বৃত্তের আশা

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

সিরাজগঞ্জে বিস্তৃীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে এখন সবুজ ধানখেত। রোপা আমনখেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। দু-এক মাস পরই ধান পাকবে। সোনালি পাকা ধানে ভরে যাবে মাঠ। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে এবারও উদ্বৃত্ত থাকার আশা চাষিদের। এখন তাদের মুখে হাসি।

এ বছর সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় রোপা আমন চাষ নিয়ে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু পরে জেলায় ভারী বর্ষণে সেচের চাহিদা মিটে যায়। কৃষকরা স্বাচ্ছন্দ্যে রোপা আমন চাষ করেছেন। ইতোমধ্যেই জমি সবুজে ছেয়ে গেছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় বার্ষিক চালের চাহিদা ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৫৩৮ টন। আর উৎপাদন হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৪৩৯ টন। গত বছর জেলায় খাদ্য উদ্বৃত্ত ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৬০১ টন। এ বছরও জেলার ৭২ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বনবাড়িয়া গ্রামের আবিদ আলী বলেন, রোপা আমন লাগানোর পর কিছুদিন বৃষ্টি না হওয়ায় রোপণ করা ধানের চারা খরায় হলদে হয়ে গিয়েছিল। কোনো কোনো জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। জমিতে পানি না থাকায় সারের উপরি প্রয়োগও করা যায়নি। পরে বৃষ্টি হওয়ায় খেতে সার দেওয়া সম্ভব হয়। তখন ধানের চারাগুলো সবুজ হয়ে ওঠে। বৃষ্টির পানি খেতে সারের কাজ করে।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রোস্তম আলী বলেন, কয়েক দিন পরপর মোটামুটি ভালো বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে পর্যাপ্ত নাইট্রোজেন থাকে। যা রোপিত ধানের চারার জন্য খুবই দরকারি।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, এই কাক্সিক্ষত বৃষ্টিতে ধানসহ অন্যান্য ফসলের উপকার হয়েছে। তিনি জানান, জেলায় এ বছর ৭২ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার রোপা আমনের ভালো ফলন হবে। জেলায় আরো বেশি উদ্বৃত্ত ধান ও চাল উৎপাদন হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আমন ধান,সিরাজগঞ্জ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close