কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

  ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

এসএসসির প্রশ্ন ফাঁস : ভূরুঙ্গামারীর ইউএনওকে শোকজ

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা। ছবি : সংগৃহীত

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা দুদিন সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত কাজ শেষ করে ফিরে গেছে। এ ঘটনার পর সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহমান শারীরিক জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বলেন, বিধি মোতাবেক ইউএনও দীপক কুমার দেব শর্মা পরীক্ষার ব্যাপারে সব ধরনের চিঠি ইস্যু করেছেন। তারপরও কোনো গাফিলতি আছে কি-না বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইউএনওকে শোকজ করা হয়েছে। তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। শোকজের জবাব পেলে পরবর্তী সময়ে করণীয় ঠিক করা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের দিন অর্থাৎ গত বুধবারই ইউএনওকে শোকজ করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। এ ব্যাপারে জানতে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মাকে একাধিবার মোবাইলে ফোনে কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় চলতি এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম এবং দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে এলে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার দুপুরে ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসএসসির চারটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র উদ্ধার করেন। বুধবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের গণিত, কৃষিশিক্ষা, পদার্থবিজ্ঞান ও রয়ায়ন পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা আসে। পরে বৃহস্পতিবার পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে শিক্ষা বোর্ড।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজির শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক জুবায়ের হোসাইনকে। আর বৃহস্পতিবার বাংলার শিক্ষক সোহেল আল মামুন, পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম এবং অফিস সহায়ক সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়

এ ঘটনায় ট্যাগ অফিসার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী চারজন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলাও করেন ভূরঙ্গামারী থানায়। উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানান, ইউএনও দীপক কুমার দেব শর্মা ১১ সেপ্টেম্বর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহমানকে একটি চিঠি দেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ভূরুঙ্গামারীর ইউএনও,ইউএনওকে শোকজ,এসএসসির প্রশ্ন ফাঁস
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close