বেনাপোল প্রতিনিধি :

  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

যাত্রীর মালামাল লুট, বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি : সংগৃহীত

যশোরে ভারতফেরত এক বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রীর মালামাল লুট ও ক্রসফায়ারের হুমকির অভিযোগে বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পে কর্মরত সিপাহী মনিরুজ্জামানের নামে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরমান হোসেন বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী ঢাকার নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী মাসুদ আহমেদ (৩১)।

তার আইনজীবী রুহিন বালুজ জানান, পাসপোর্টযাত্রী মাসুদ আহম্মেদের মালামাল লুট ও হত্যার হুমকির অভিযোগে বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মাসুদ আহম্মেদ তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি গত ৯ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়িক কাজে ভারতে যান। ১৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) দেশে ফেরার সময় পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের জন্য ১০টি শাড়ি, ১০টি পাঞ্জাবি, ১০টি ফুলপ্যান্ট, ২০টি চশমা এবং বিভিন্ন আইটেমের ৫ হাজার টাকা মূল্যের কসমেটিক নিয়ে আসেন। ওই পণ্যগুলো নিয়ে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, বিজিবি চেকপোস্ট চেকিং, স্ক্যানিং ও ক্লিয়ারেন্স সম্পন্ন করে ইজিবাইকে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

পথিমধ্যে বেনাপোলের সাদিপুর রাস্তার মোড়ের পূর্ব পাশে জিএম পরিবহন কাউন্টারের সামনে পৌঁছলে আসামি বিজিবির সিপাহী মনিরুজ্জামান মোটরসাইকেলে ইজিবাইকের সামনে এসে গতিরোধ করেন। এ সময় তাকে জোরপূর্বক মালামালসহ বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যায়। বাদীকে বাইরে রেখে ক্যাম্পের ভেতরে মালামাল নিয়ে যাওয়া হয়।

এ সময় আসামি বাদীকে বলে ‘এসব মালামালে সমস্যা আছে। আমাকে ৫০ হাজার টাকা দে তাহলে মালামাল ছেড়ে দেবো। বাদীর কাছে টাকা নেই জানালে আসামি বাদিকে গালিগালাজ শুরু করে। বাদি আসামির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবেন বললে আসামি বাদিকে বলে যে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোকে আমি ক্রসফায়ার করবো অথবা অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেবো।’ এক পর্যায়ে তাকে তাড়িয়ে দেয়। ঘটনা ক্যাম্পের সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড আছে বলেও অভিযোগে দাবি করা হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে বিজিবি সিপাহী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমি কোনো মালামাল জব্দ করিনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়।

এ ব্যাপারে যশোর ৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কোনো বিজিবি সদস্য কারো মালামাল লুট করতে পারে না। বরং তারা উদ্ধার করে কাস্টমে জমা দেন। তবে যিনি মামলা করেছেন ওনার প্রথমে উচিত ছিলো মামলা করার আগে আমাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া। অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করতাম। দোষী প্রমাণিত হলে ওই বিজিবি সদস্যকে আইনের আওতায় আনা যেত। বিজিবির বিরুদ্ধে মামলা দিলে আমাদের মনোবল দুর্বল হয়ে যাবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
যাত্রীর মালামাল লুট,বিজিবি সদস্য,মামলা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close