মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বন ও পরিবেশ সচিবের কাছে অভিযোগ

চক্রের কাছে জিম্মি সিলেট পরিবেশ দপ্তরের কার্যক্রম 

সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ দপ্তরের কার্যক্রম একটি অশুভ চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট একটি বিষয়ে রিট আবেদনকারী আনিসুর রহমান সম্প্রতি বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি বলেছেন, সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ দপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন ও তার নেতৃত্বাধীন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের কারণে এই জিম্মি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

রিট আবেদনকারী তার অভিযোগে বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ধারা ১২ লঙ্ঘন ও জাতীয় পোলট্রি উন্নয়ন নীতিমালা ২০০৮-এর ধারা ৬ দশমিক শূন্য পোলট্রি নীতির বাস্তবায়ন কৌশল লঙ্ঘন করে কোয়ালিটি নামক একটি প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম করে যাচ্ছে। ওই ধারায় মামলা, দণ্ড ও জরিমানার বিধান থাকলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না সিলেট পরিবেশ দপ্তর। এমনকি হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের আইন শাখা পরিচালক খোন্দকার মো. ফজলুল হক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, গত ১৮ আগস্ট পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুযায়ী যেসব পোলট্রি ফার্ম পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া পরিচালনা করে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ধারা ১২ লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ (যেমন : মামলা অথবা ক্ষতিপূরণ ধার্য ও আদায়) করতে হবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণের প্রমাণাদি সাত কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠাতে হবে। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ দপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন আইনগত কোনো পদক্ষেপ নেননি। এটি প্রধান কার্যালয়ের আদেশের লঙ্ঘন এবং হাইকোর্ট আদেশের অবমাননা।

অভিযোগপত্রে আনিসুর রহমান আরো জানান, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কালিকাপুর রাবার বাঁধের কাছাকাছি স্থানে মুরগির খামার স্থাপন করে পরিবেশের ক্ষতি করা হচ্ছে। এলাকার পরিবেশ রক্ষায় হাইকোর্টে রিট করার কারণে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির দুটি মিথ্যা মামলা করেছে কোয়ালিটি কোম্পানি। পরবর্তী সময়ে তদন্তে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

পরিবেশ দপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। সিলেট অফিস যা বলে, সেভাবে কাজ করব।’

সিলেট পরিবেশের পরিচালক এমরান হোসেন বলেন, ‘হাইকোর্ট আমার একার প্রতি আদেশ দেননি। পল্লীবিদ্যুৎ অফিসকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা যদি বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয় তাহলেই তো কোম্পানি বন্ধ হয়ে যায়, আমি আর কী করব।’

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জিম্মি,সিলেট পরিবেশ দপ্তর,মাধবপুর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close