মো. শাহ আলম, খুলনা
বকেয়া পাওনার দাবিতে ভুখা মিছিল করবে মহসেন জুটের শ্রমিকরা
চূড়ান্ত বকেয়া পাওনার দাবিতে মহসেন জুট মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপরে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন। এ সময় তারা ভুখা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচি চলাকালে শ্রমিক নেতারা বলেন, মহসেন জুট মিলের মালিক জুট মিল দেখিয়ে ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এরপর সে টাকা অন্যখাতে ব্যয় করেছেন। আর শ্রমিকরা তাদের গ্রাইচ্যুটি, পিএফ ও মজুরির জন্য দীর্ঘ ৯ বছর যাবত রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে।
অপরদিকে, শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ না করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মিল থেকে ইতিমধ্যে রাতের আধারে মালামাল বের করা হচ্ছে। বর্তমানেও তা অব্যাহত আছে।
তারা আরও বলেন, সরকারি জুট মিল বন্ধ করার কিছুদিন পর সরকার শ্রমিকদের পাওনাদি একসঙ্গে পরিশোধ করেছে। অথচ বছরের পর বছর বেসরকারি জুট মিল মালিকরা তাদের কারখানা বন্ধ ও শ্রমিকের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ না করেও বহাল তবিয়তে রয়েছে। এ অবস্থায় অতি দ্রুত মহসেন জুট মিলসহ সকল বেসরকারী জুট মিলের শ্রমিকদের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এ সময় শ্রমিকদের নায্য দাবি আদায়ের লক্ষে আগামী শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় ফুলবাড়ীগেটে শ্রমিক জনসভা ও জনসভা শেষে খুলনা যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ী গেটে থালাবাটি হাতে নিয়ে ভুখা মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ওই কর্মসূচি থেকে রাজপথ রেলপথ অবরোধসহ আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান শ্রমিক নেতারা।
পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্জিল কাজী শরবত পান করিয়ে শ্রমিকদের অনশন ভাঙান। এ সময় তিনি শ্রমিকদের দাবি পূরণে সংশ্লিষ্ট মহলকে উদ্যোগ নেওয়ার জোর দাবি জানান । অনশন কর্মসূচি শেষে খুলনা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
মহসেন জুট মিলের সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারীদের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি পাট, সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি শেখ আমজাদ হোসেন। সংগঠনের প্রচার সম্পাদক সাইফুল্লাহ তারেকের পরিচালায় বক্তৃতা করেন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল খান, সেকেন্দার আলী, লিয়াকত মুন্সি, আমির মুন্সি, আইনউদ্দিন প্রমুখ ।