খুলনায় চাল, ডাল, সয়াবিন, মুরগি, আটা-ময়দাসহ দাম বেড়েছে ৯টি পণ্যের। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, খুলনার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের দপ্তরে দাখিল করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৭ আগস্ট থেকে গত ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক মাসের ব্যবধানে ১০টি পণ্যের মূল্য বেড়েছে। যেসব পণ্যের মূল্য বেড়েছে সেগুলো হলো চাল, আটা, ময়দা, মসুরের ডাল, সয়াবিন, রসুন, চিনি, মুরগি ও রুই মাছ। স্থিতিশীল রয়েছে পেঁয়াজ ও গোল আলুর মূল্য।

কৃষি বিপণনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোটা চাল কেজিপ্রতি ৪৫-৫০ টাকার পরিবর্তে ৪৭-৫০ টাকা, মাঝারি চাল ৫৬-৬০ টাকার পরিবর্তে ৫৮-৬৪, চিকন চাল ৬৬-৭০ টাকার পরিবর্তে ৬৮-৭৩, আটা ৫০-৫২ টাকার পরিবর্তে ৫৬-৬৪, ময়দা ৬৫-৬৮ টাকার পরিবর্তে ৭০-৭৫, মসুরির ডাল (দেশি) ১২৫-১৩০ টাকার পরিবর্তে ১৩০-১৪০, আমদানি করা মসুরি ডাল ৯৫-১০০ টাকার পরিবর্তে ১০০-১১০, সয়াবিন ১৮০-১৮২ টাকার পরিবর্তে ১৯০-১৯২, আমদানি করা রসুন ১২০-১৩০ টাকার পরিবর্তে ১৪০-১৫৩, চিনি ৮০-৮২ টাকার পরিবর্তে ৯০-৯৫, ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকার পরিবর্তে ১৬৫-১৭০, রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকার পরিবর্তে ৩২০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গোল আলু ২৮-৩০ টাকা ও পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এদিকে বড় বাজারের পাইকারি

ব্যবসায়ী শ্যাম হালদার বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের কারণে গম আসতে দেরি হয়। এ কারণে ময়দার মূল্য বেড়েছে। তিনি বলেন, ময়দার ব্যবসায় ক্রমাগত লোকসান হচ্ছে। সংকটের কারণে দাম বেড়েছে।

বড় বাজারের ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী গোলাম রাব্বানি টেড্রার্সের মালিক আ. জলিল জানান, মোটা চাল ৩৫ টাকা, মাঝারি ৫৬ ও চৌধুরী বাসমতী ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ভারত থেকে আমদানি করা সেদ্ধ চাল কেজিপ্রতি ৬৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি-ফার্মের মুরগি এবং রুইসহ সব ধরনের মাছ বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।