
বিএডিসির চেয়ারম্যানের ‘নজরুল সাহিত্যের মণিমঞ্জুষা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) জনাব এ এফ এম হায়াতুল্লাহ সংকলিত ‘নজরুল সাহিত্যের মণিমঞ্জুষা’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিএডিসি’র কৃষি ভবনের সেমিনার হলে চন্দ্রাবতী একাডেমি আয়োজিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে এবং নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে বিএডিসি’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ এফ এম হায়াতুল্লাহ কেবল একজন সরকারি কর্মকর্তা নন, তিনি একজন নজরুলপ্রেমী, নজরুল গবেষক। তিনি এই গ্রন্থে নজরুলের ১৫০০ এর অধিক বাণী সংকলন করেছেন। এ বই রচনায় তিনি যথেষ্ট সময় দিয়েছেন। লেখক অসাধারণ একটি কাজ করেছেন। এ বইটি পাঠে নজরুলকে আমরা জানতে পারবো এবং নজরুলের সাহিত্যকর্ম আমাদের সমৃদ্ধ করবে।
বাংলাদেশের জাতীয় কবিকে নিয়ে গবেষণায় অনন্য ভূমিকা রেখে সমাদৃত হওয়া জনাব এ এফ এম হায়াতুল্লাহ নিজের সংকলিত বইটির ব্যাপারে বলেন, যারা নজরুলকে পড়তে চান, জানতে চান কিন্তু পুরো নজরুল রচনাবলি হয়তো পড়ার সুযোগ পান না তারা এই গ্রন্থটির মাধ্যমে নজরুলকে পড়তে পারবেন, জানতে পারবেন। কেউ হয়তো যেকোনো বিষয়ে একটি উদ্ধৃতি দিতে চান তিনি সহজেই এ গ্রন্থ থেকে নজরুলের উক্তি নিতে পারবেন।
‘নজরুল সাহিত্যের মণিমঞ্জুষা’ গ্রন্থটি চন্দ্রাবতী একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। গ্রন্থটির প্রচ্ছদ করেছেন সুব্রত চৌধুরী। বইটিকে প্রত্যয়ন করেছেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। বইটির মুদ্রিত মূল্য ৬০০ টাকা। পাওয়া যাবে চন্দ্রাবতী একাডেমিসহ দেশের প্রায় সকল লাইব্রেরি, দোকান ও অনলাইন শপে।
এ এফ এম হায়াতুল্লাহ বাল্যকাল থেকে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর বাণী সংকলন করেছেন ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বাণীসমুচ্চয়’ নামে। তিনি বঙ্গবন্ধু ও নজরুলের লড়াই-সংগ্রামের সাদৃশ্য নিয়ে রচনা করেন ‘চেতনাগত ঐক্য: বঙ্গবন্ধু ও নজরুল’ শীর্ষক গ্রন্থটি। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ময়‚খ’। ‘সময়ের কাননে অসময়ের কুসুম’, ‘ঝরতি ফুলের মধু’, ‘জীর্ণ তরুর শীর্ণ পল্লব’, ‘ছায়া ছায়া আলোর মায়া’ তাঁর রচিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ। তিনি ডড়সবহ ধহফ এবহফবৎ শীর্ষক পাঠ্য পুস্তকটি সম্পাদনা করেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ওপর তাঁর অধ্যয়ন, গবেষণা ও রচনা বিশেষ ব্যতিক্রমী। তাঁর রচিত ‘অন্য রকম নজরুল’, ‘আমার নজরুল: প্রজন্মে প্রজন্মে’, ‘বাঙালির নজরুল’, ‘অনাবিষ্কৃত নজরুল’, ‘নজরুল সিন্ধুর কয়েক বিন্দু’, ‘শিশু বান্ধব নজরুল’ শীর্ষক নজরুল বিষয়ক গ্রন্থ পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছে। তিনি বিশ্বখ্যাত নজরুল গবেষক উইনস্টন ই ল্যাংলি রচিত নজরুল বিষয়ক গবেষণা গ্রন্থ ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন। তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থসম‚হের মধ্যে ‘তাড়াইল উপজেলা প্রোফাইল’, ‘শেরপুর জেলা পরিচিতি’, ‘শেরপুর উপজেলা প্রোফাইল’ এবং ‘মাওলানা ইমামুদ্দিন স্মারকগ্রন্থ’ সুধীজন কর্তৃক সমাদৃত হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি