বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
শার্শায় পুলিশ-চোরাকারবারি সংঘর্ষে যুবক নিহত, ১০ কেজি স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার ২
যশোরের শার্শায় যৌথ অভিযানে স্বর্ণ পাচারকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পাচারকারী দলের এক সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিক তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ সময় ৯ কেজি ৭৫৯ গ্রাম ওজনের ৩০টি স্বর্ণের বারসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি প্রাইভেট কার ও তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার জামতলা পাঁচপুকুর এলাকার ওরিয়েন্টাল অয়েল কোম্পানির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তাররা হলেন-কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বাসিন্দা আবুল সরকারের ছেলে রবিন এবং দাউদকান্দি উপজেলার সাজাদিয়া এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেনের ছেলে আবুল কাশেম।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শার্শার জামতলা এলাকায় অভিযান চালায় যশোর ডিবি (গোয়েন্দা শাখা) ও শার্শা থানা পুলিশ। এ সময় দুই আরোহীসহ একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-গ ২২-০৪২৪) থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে গাড়ির ইঞ্জিনের মধ্যে বিশেষভাবে লুকানো ৯ কেজি ৭৫৯ গ্রাম ওজনের ৩০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। ঠিক এ সময়ে কয়েকটি মোটরসাইকেলে আসা চোরাকারবারি দল পুলিশকে লক্ষ্য করে চার-পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে মোটরসাইকেল আরোহী হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থলের ২০০ গজ দূরে একটি মোটরসাইকেল ও অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যশোরের নাভারণ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) জুয়েল ইমরান বলেন, অভিযানকালে পুলিশের ওপর চোরাকারবারিরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের একজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। স্বর্ণসহ আটক দুই পাচারকারীকে শার্শা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় শার্শা থানায় মামলা হয়েছে।