মো. নাজিম উদ্দিন, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

  ১৭ আগস্ট, ২০২২

শত্রুতার জের জমির ধানে  

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

কুমিল্লার মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কীটনাশক ছিটিয়ে আপন চাচার জমির ধান নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জ্বলে গেছে প্রায় ৯০ শতক জমির ধান। উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আলম মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘বাচ্চা নিয়ে মারামারির ঘটনায় বড় ভাই হোসেন মিয়া তার দুই ছেলে আঃ আলিম ও লেয়াকত আলীর সঙ্গে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে কোর্টে মামলাও চলছে। এর জেরে তারা আমার ক্ষেতের সব ধান কীটনাশক দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে।’ পাশাপাশি আমার সাথে চলা ফেরা করার কারণে পাশের বাড়ীর মনিরেরও ৪৫ শতক জমির ধান বিষ দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। তারা এখানেই ক্ষান্ত হয় নাই আমার জমির ধান নষ্ট কইরা উল্টা মিথ্যা অভিযোগ দিয়া পুলিশ দিয়া অহন হয়রানি করতাছে।’

আলম মিয়ার স্ত্রী জোসনা বেগম বলেন, ‘আর কিছুদিন পরেই ধান ঘরে তোলা যেত। এই জমির ধান দিয়াই সারা বছর চলতে হয়। তারা আমাদের মুখের রিজিক কাইরা নিছে। ক্ষেতের কোনো ধানই আর ভালো নাই।’ ঋণ করে এই জমি করেছিলাম। এক মুহূর্তেই তারা আমার স্বপ্ন ধ্বংস কইরা দিছে। পরিবার নিয়ে রাস্তায় নামার জোগাড় হয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যদেরও কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

মুরাদনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাইন উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে যেটি মনে হয়েছে এটি কোন রোগ না। তবে বিষয়টি আরো ভালোভাবে খতিয়ে দেখার জন্য আমরা জমির ধান গাছ, জমির মাটি সহ প্রয়োজনীয় সবকিছু জেলার ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এলে আরো পুরোপুরি পরিস্কার হওয়া যাবে এটি বিষ প্রয়োগে নষ্ট হয়েছে কিনা। তবে কেউ যদি বিষ দিয়ে থাকে এভাবে ক্ষেতের ফসল নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। বিষয়টি ফৌজদারী অপরাধের শামিল।’

কৃষক আলম মিয়াকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে হয়রানি করার বিষয়টি জানতে চাইলে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, এ বিষয়ে কোন কিছুই আমার জানা নেই।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
শত্রুতার জের,জমির ধান
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close