উল্লাপাড়া ( সিরাজগঞ্জ ) প্রতিনিধি

  ১৭ আগস্ট, ২০২২

হঠাৎ অসুস্থ মাদরাসার শিক্ষাথীরা

বদ জিনের আছর নাকি বিনোদনের অভাব

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় একটি হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষাথীরা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অনেকে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। মাদরাসাটির শিক্ষক ( হুজুর ), পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা বলছেন, শিক্ষাথীদের উপর বদ জিনের আছর পড়েছে। কবিরাজ দিয়ে নানা তদবির করা হচ্ছে।

তবে উল্লাপাড়া সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক শামীম হাসান বলেন, এটা কোনো অবস্থাতেই জিনের আছর নয়। এটি একটি মনস্তাত্বিক সমস্যা। আবাসিক শিক্ষাথীদের একজন অসুস্থ হলে দেখাদেখি আরো এক দু'জনের এমন সমস্যা দেখা দেয়। মাদরাসাটির শিক্ষাথীদের বিনোদনের অভাব , পড়ায় বেশি চাপ, বাইরের পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্নতা এবং পুষ্টিহীনতা জন্য এমনটি হতে পারে। তিনি জানান পুষ্টিকর খাবার ও মানসিক বিনোদনের ব্যবস্থা করা হলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

নাগরৌহা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, মাদরাসাটি যেন ভলোভাবে না চলে কিংবা একেবারে বন্ধ হোক এমন চক্রান্ত চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখার দরকার।

উল্লাপাড়া উপজেলার সদর উল্লাপাড়া ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামে, গ্রামবাসীর সহযোগিতায় কবরস্থানের পাশে ২০০৫ সালে বুজরত আলী হাফিজিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা হয়। অন্য এলাকার দানশীল ব্যাক্তিগণ নানা সহযোগিতা করে থাকেন। মাদরাসায় তিনজন শিক্ষক ও বর্তমান শিক্ষাথী সংখ্যা পঞ্চাশ জন। বেশীরভাগ শিক্ষাথী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের। শিক্ষার্থীরা সবাই আবাসিক।

বুধবার মাদরাসার প্রধান হুজুর ( শিক্ষক ) মাওঃ আঃ রাজ্জাক বলেন, মাস দুয়েক হলো এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। দিনে কিংবা রাতের যে কোনো সময় শিক্ষাথীদের এক দু’জনের প্রথমে মাথা ব্যাথা এরপর নানা উপসর্গে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদের ঝাড় ফুক ও পানি পড়া খাওয়ালে সুস্থ হয়ে উঠে। আবার কাউকে কাউকে বাড়ী পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

প্রায় সতেরো বছর বয়সী মাদরাসা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনাকারীদের একজন আঃ মালেক সরকার জানান, মাদরাসার এর আগে এমন কোনো সমস্যা হয়নি। একাধিক কবিরাজ দিয়ে সমস্যার সমাধানে জোরালো চেষ্টা চলছে। তারা নানা তদবির করছেন। এমন অব¯’ায় চারদিনের ছুটিতে শিক্ষাথীদের সবাই ও শিক্ষকদের বাড়ী পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা থেকে আসা কবিরাজ চান সরকার বলেন বদ জিনের আছরে দেখা দেওয়া সমস্যার সমাধানে তিনি নানা তদবিরে সব ঠিক করে দিয়েছেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বদ জিন,আছর,বিনোদনের অভাব
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close