বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী সারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। বুধবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তারা ধুনট হাসপাতাল সড়কের খাদ্য গুদাম এলাকায় অবরোধ করেন। এসময় ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ধুনট পৌরসভা ও উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের জন্য ১১জন বিসিআইসি সার ডিলার রয়েছেন। ধুনট সদর ইউনিয়নের সার ডিলার মেসার্স এশিয়া এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির সার বিক্রয় কেন্দ্র ধুনট সরকারি খাদ্য গুদামের সামনে। বুধবার ভোর থেকে সার নিতে কৃষকরা সেখানে সমাবেত হন। সকাল ১০টার দিকে ধুনট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে সেখানে সার বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় অনেক কম সার দেওয়ার কথা বলা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কৃষকরা সড়কের উপর গাছের ডাল ফেলে অবরোধ করেন। সংবাদ পেয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও থানার ওসি সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

বিক্ষুব্ধ কৃষকরা জানিয়েছেন, গত দুইদিন তারা ডিলার পয়েন্টে সার নিতে এসে না পেয়ে ফিরে গেছেন। আজ এসে জানতে পারেন চাহিদা অনুযায়ী সার দেওয়া হবে না। এছাড়া মাত্র ৩টি ওয়ার্ডের কৃষকদের সার দেওয়া হবে। তাই গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

ধুনট উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধুনট উপজেলা আগষ্ট মাসের জন্য সরকারিভাবে ৮৯০ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার বরাদ্দ রয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১জন করে বিসিআইসি সার ডিলার রয়েছেন। বরাদ্দ পাওয়া সার ডিলারদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

কৃষি অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিদিন একটি ইউনিয়নের ৩টি করে ওয়ার্ডের কৃষকদের সার দেওয়া হবে। বুধবার সকাল থেকে ধুনট ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের কৃষকদের মাঝে জমির পরিমান অনুযায়ী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দুইজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ইউরিয়া সার বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু সার বিক্রি শুরু করার আগেই কৃষকের ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেন।

ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জান বলেন, ইউনিয়নের সব ওয়ার্ড থেকে কৃষকরা সেখানে আসার কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন। আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করা হবে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষকদের শান্ত করে সার বিক্রি শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল ওয়ার্ডের কৃষকদের সার দেওয়া হবে। এছাড়াও উপজেলায় নতুন করে সার বরাদ্দের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।