যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যাওয়া স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছেন রংপুর র‌্যাব-১৩ এর সদস্যরা। রবিবার সকালে রংপুর নগরীর প্রধান ডাকঘর এলাকা থেকে পলাতক ফেরদৌস জামাল ডিপজলকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১০ আগস্ট মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় ডিপজল।

ডিপজল মিঠাপুকুর উপজেলার বিরাহিমপুর এলাকার মুসলিম মিয়ার ছেলে। রবিবার দুপুরে র‌্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক ফ্লাইট লে. মাহমুদ বশির আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

র‌্যাব জানায়, ডিপজল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, অন্যান্য দিনের মতো কলেজ শেষে দুপুরের দিকে বাবার বাড়ি ফিরছিলেন তার স্ত্রী। তিনি ভাংনি চৌপথির দক্ষিণ পাশে ছোট কালভার্ট পার হওয়ার সময় রাস্তার পাশে একটি কলাবাগানে আগে থেকে অবস্থান করছিলেন। সেখানে তিনি স্ত্রীর পথ রোধ করেন এবং নিজের সাথে থাকা হাতুড়ি বের করে তার মাথায় আঘাত করে। এতে তার স্ত্রী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং তিনি ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ঐ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে র‌্যাবকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা ও আত্মীয় স্বজনরা জানান, এক বছর আগে জোর করে বিয়ে করে মো. ফেরদৌস জামাল ডিপজল। বিয়ের পর থেকেই তার উপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন যা সহ্য করতে না পেরে কয়েক মাসের মধ্যেই স্ত্রী তার বাবার বাড়ি চলে যায় এবং নতুন জীবন শুরু করতে আবারও পড়ালেখা শুরু করে। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্বামী এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

ভুক্তভোগীর বাব বাদী হয়ে মো. ফেরদৌস জামাল ডিপজলসহ ৩ জন এবং অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের নামে মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।