সাহারুল হক সাচ্চু, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)
পাটের দামে খুশি কৃষক

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিভিন্ন হাটে নতুন পাট কেনাবেচা জমে উঠছে। সোমবার উল্লাপাড়া হাটে বিপুল পরিমাণ নতুন পাট কেনাবেচা হয়েছে। এবার বাম্পার ফলনের পর ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি কৃষক। একমণ কেনাফ-মেছতা পাট ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা আর তোষা পাট ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। এছাড়া দেশী পাট ২ হাজার ৩০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা মণ দরে কেনাবেচা হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় পাট বন্দরে প্রতিদিন শত শত মণ পাট উঠছে। বিভিন্ন হাট থেকে ব্যবসায়ীরা পাট কিনে আনছেন। আবার বিক্রি করা হচ্ছে মোকাম বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানানো হয়, গত বছরের চেয়ে এবারে পাটের আবাদ সরকারি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এবারের ১ হাজার ৬৯০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে পাটের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী ৮৮০ হেক্টরে কেনাফ (আসমান তারা) পাটের আবাদ হয়েছে এবং তোষা ৫৩০ হেক্টরে, দেশী ২৭৫ হেক্টরে ও ৫ হেক্টরে মেছতা পাটের আবাদ হয়েছে। উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী, পঞ্চক্রোশী, দুর্গানগর, সদর উল্লাপাড়া ইউনিয়নে বেশী পরিমাণ জমিতে পাট আবাদ হয়েছে।
সোমবার সরেজমিনে হাটে ঘুরে দেখা গেছে, উল্লাপাড়া উপজেলা সদরের হাটে প্রায় ৫০০ মণ পাট কেনাবেচা হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামের কৃষক হাটটিতে পাট বিক্রি করেছেন। হাটে সবচেয়ে বেশী পরিমাণ তোষা পাট উঠেছে। ব্যবসায়ী আর ফড়িয়া মিলে ৩০ থেকে ৩৫ জন পাট কিনেছেন। ব্যবসায়ীদের কথায় আর সপ্তাহ দেড়েক পর থেকে হাটে আরো বেশী পাট কেনাবেচা হবে।
পাট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, আফজাল হোসেন হাটে পাট কিনেছেন। তারা জানান হাটে কেনা পাট বন্দরের বড় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করবেন। পাট বেচতে আসা কৃষক আফাজ মিয়া, সোলায়মান হোসেন বলেন, তাদের নিজের জমিতে আবাদ করা মণ দেড়েক তোষা জাতের পাট ৩ হাজার ১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন। তারা পাটের দামে বেশ খুশি।
এদিকে উল্লাপাড়া পাট বন্দরে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পাট পাওয়া যাচ্ছে। এখানকার পাট ব্যবসায়ীরা উল্লাপাড়ার বাইরের তালগাছি, সোহাগপুর, বেড়া, চান্দাইকোনাসহ বিভিন্ন এলাকার হাট থেকে কিনে আনছেন। পাট বন্দরের ব্যবসায়ী ছাইফুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন এলাকার হাট থেকে পাট কিনে গুদামে রাখছেন এবং তা মোকাম বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, গত মৌসুমের চেয়ে এবারে বেশী পরিমাণ জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে।