মো. সবুজ হোসেন, নওগাঁ

  ০৭ আগস্ট, ২০২২

নওগাঁর বদলগাছিতে ৬৫ কিশোর খেলার মাঠে

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

নওগাঁর বদলগাছীতে ৬৫ কিশোরকে খেলাধুলায় মনোনিবেশ করাতে মাঠে নিয়ে এলেন নওগাঁ ওয়াটার, নওগাঁ ট্রাভেলস ও নওগাঁ টাচ- এর চেয়ারম্যান উদীয়মান উদ্যোক্তা এম এ মতিন। শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার মিঠাপুর স্পোটিং ক্লাবের সহযোগিতায় ও এম এ মতিনের উদ্যোগে এলাকার প্রায় ৬৫জন কিশোরকে নিয়ে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়।

এ সময় ওই কিশোরদের জার্সি, বুট (খেলার জুতা), ফুটবল ও খেলার অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হয়। তারা যেন পড়াশোনা ও কাজের পাশাপাশি মাঠে খেলাধুলা করতে পারে সেজন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেয়া হয়।

স্থানীয় কিশোর মুন্না হোসেন বলেন, আমি স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করি। মন চাইলেও সেভাবে খেলাধুলার পরিবেশ পেতাম না। স্কুলে মাঝে মাঝে খেলতাম। মতিন স্যারের উদ্যোগে আমরা খেলার সামগ্রী পেয়েছি। মিঠাপুর মাঠে যেন প্রতিদিন বিকেল বেলা খেলতে পারি সেই ব্যবস্থা তিনি করে দিয়েছেন।

নিশান আহম্মেদ নামের আরেক কিশোর বলেন, মন চায় প্রতিদিন খেলাধুলা করতে কিন্তু খেলার সামগ্রী ছিল না। আর মাঠে আমরা যে খেলবো অন্য বড় ভাইয়া খেলার কারণেও সে সুযোগ হতো না। এখন মতিন স্যার ও মিঠাপুর স্পোটিং ক্লাবের উদ্যোগে প্রতিদিন আমরা মাঠের এক পাশে খেলতে পারবো।

মেহেদী হাসান নামের স্থানীয় কিশোর বলেন, অবসর সময়ে আড্ডা দিতাম, ফোন সেটে গেম খেলতাম, এসব করে সময় পার করতাম। কিন্তু মতিন স্যার আমাদের ও আমাদের পরিবারকে বুঝিয়ে খেলার মাঠে নিয়ে এসেছেন। কাজের পাশাপাশি খেলাধুলা যেন করি সেই ব্যবস্থা তিনি করে দিয়েছেন। এখন থেকে আমরা রোজ মাঠে খেলবো।

স্থানীয় মিঠাপুর স্পোটিং ক্লাবের সদস্য রেজাউল করিম ও মামুন হোসেন বলেন, উদ্যোক্তা এম এ মতিন ভাই চমৎকার ও সময় উপযোগী একটি পদক্ষেপ নিয়েছেন। বর্তমানে অনেক কিশোর, তরুণ ও যুবক খেলাধুলা ছেড়ে ফেসবুক, গেমস বা নেশার মত ভয়াবহ জগতে চলে যাচ্ছে। মতিন ভাইয়ের উদ্যেগে ও আমাদের সহযোগিতায় ৬৫জন কিশোর মাঠে ফিরেছে। এখন থেকে তারা রোজ খেলাধুলা করবে।

এ বিষয়ে উদ্যোক্তা এম এ মতিন বলেন, বর্তমানে আমরা লক্ষ্য করছি যে, অনেক কিশোর, তরুণ বা যুবকরা নানা ভাবে সময় কাটায়। এমনকি নেশার মত জগতে পা রাখে। আবার অনেকে অবসর সময়ে মোবাইল ফোনে ফেসবুক, গেমসসহ নানা কর্মকাÐে বেশি ঝুঁকে পড়েছে। যদি পড়াশোনা বা দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি খেলাধুুলা করে তাহলে তারা একদিকে যেমন শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ্য থাকবে, অন্যদিকে নেশা ও মাদকের মত ভয়াল থাবা থেকে দূরে থাকতে পারবে। এই উপলব্ধি থেকেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীতে চেষ্টা করবো জেলার অন্য এলাকা গুলোতেও এমন প্রদক্ষেপ নেয়ার। অনুরোধ করবো সমাজের যারা সচেতন মহল আছেন সরকারের পাশাপাশি সবাই যে যার পর্যায় থেকে এগিয়ে এসে বর্তমান প্রজন্মকে সচেতন করার প্রচেষ্টা চালাবেন। সবার মনে রাখতে হবে বর্তমান প্রজন্মই আগামীতে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নওগাঁর,বদলগাছিতে,৬৫ কিশোর খেলার মাঠে
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close