সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাজারে গিয়ে সিন্নি দিয়ে শিশুর মুখে প্রথম ভাত দেওয়ার অনুষ্ঠানে মেয়েদের ব্যাগআকক্স চুরিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ কমপক্ষে ১২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার(৫ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের হাজী শাহ শরীফ জিন্দানী রহ: মাজার চত্বরে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বিষয়টি তাড়াশ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে থানার পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। থানা পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, তাড়াশ সদরের ফরিদুল ইসলামের শিশু ছেলে আইভীকে (৬ মাস) মুখে প্রথম ভাত দেওয়ার জন্য নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামে অবস্থিত হাজী শাহ শরীফ জিন্দানী( রহ:) মাজারে সিন্নি দেওয়ার আয়োজন করেন। সে মোতাবেক সকালে ফরিদ তার প্রায় ৫০ জন আত্মীয় স্বজন নিয়ে মাজারে যান। সেখানে ৪ টি সসপেনে মাংস খিচুরি ও ১ সসপেন পায়েস রান্নাও করা হয়। পরে জুম্মার নামাজ শেষে ফরিদের লোকজন মাজার চত্বরে সিন্নি বিতরণ শুরু করেন। তখন এক চোর সেখানে থাকা নারীদের তিনটি ভ্যানেটি ব্যাগ চুরি করে। এ সময় তারা একজন চোরকে ধরে ফেললে চোরের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় কিছু যুবক বাগ বিতণ্ডায় জড়ান। এক পর্যায়ে তারা লাঠি সোটা, লোহার রড, বৈদুত্যিক তার নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আর এ সংঘর্ষে আবু সাঈদ (৪০), মশিউর রহমান (১৫), সজিব (২০), সাইফুল ইসলাম (৫০), শরিফুল ইসলাম (২১), রাসেল (৩০), ফরিদ (৩০), রাকিব (২৫) , মনিকা (৩৪) সহ অন্তত ১২ জন গুরুতর আহত হন।

এদিকে সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের মধ্যে ৬ জন কে তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অবশিষ্টদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ খবর পেয়ে তাড়াশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তাড়াশ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বিকাল চারটার দিকে এ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় মামলা করেনি।