ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় মোবাইল ব্যাংকিং ‘নগদ’ এর মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি প্রতারকচক্র। উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মোবাইলে টাকা আসার পরপরই তা চলে যাচ্ছে কোন এক নগদ এজেন্ট নম্বরে। পরক্ষণেই নম্বরটি বন্ধ থাকে। এভাবে ডিজিটাল কারচুপি করে অনেক টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে, এমনই অভিযোগ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল নম্বর থেকে ক্যাশ আউট করে নিচ্ছে উপবৃত্তির টাকা। শুরুতে ৩০০ টাকা করে নেওয়ায় তেমন কোন আলোচনা হয়নি। সম্প্রতি প্রতি শিক্ষার্থীর মোবাইল থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে যায়। এতে বিভিন্ন স্কুলে হৈচৈ পড়ে যায়। এমনই অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সবগুলো স্কুলের শিক্ষার্থীদের ৬ মাসের ৯০০ টাকা উপবৃত্তি এবং ১ হাজার টাকা পোশাক বাবদ মোবাইল ব্যাংকিং নগদ এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে আসে। কিন্তু কোন দোকানে গিয়ে টাকা ক্যাশ আউট করার আগেই তা মোবাইল থেকে ক্যাশ আউট হয়ে যায়। বেশ কিছু শিক্ষার্থীর টাকা এভাবে চুরি হয়ে গেছে।
অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, ঠিকমত পিন নাম্বার মনে রাখতে পারেন না তাই দোকানদারের কাছে মোবাইল দেন। এরপর আর টাকা পান না। অনেকের অভিযোগ কোন ব্যবসায়ী এই কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। গ্রামের সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে প্রতারক চক্রটি সহজেই নগদ অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর দিয়ে টাকা নিয়ে নিচ্ছে। পরে টাকা উত্তোলনের জন্য দোকানে গেলে দোকানদাররা বলেন টাকা তুলে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ধোবাউড়া বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমার কাছে অনেকেই এসেছে। যাদের মোবাইলে দেখা যায় একই তারিখে সবগুলো মোবাইল থেকে হ্যাক করে টাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা মূলত হ্যাকাররা করছে।’
রাউতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফ উদ্দিন বলেন, আমার স্কুলে ৮-১০ জনের টাকা ক্যাশ আউট করে নিয়ে গেছে প্রতারক চক্রটি।
উপজেলায় নগদে সেবা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘অসংখ্য শিক্ষার্থী মোবাইলের পিন সমস্যা নিয়ে আসে। পরে ঠিক করার পর দেখা যায় টাকা আগেই ক্যাশ আউট হয়ে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে ইউওনও ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, এই বিষয়টি আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।