মো. জোহরুল ইসলাম জোহির, নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)
নাচোলে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিল শোধ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে গ্রামীণ রাস্তা সংস্কারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রাস্তার কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বিলের অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। এলাকাবাসী তদন্ত করে রাস্তার সংস্কার কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসই করণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় নাচোল ইউনিয়নের বাগড়া মোড় থেকে খেওয়াপাড়া ভায়া বিশালপুর জিপিএস সড়কের এক কিলোমিটার সংস্কারে ৪৯ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা ব্যয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ১২ মে কাজ পান রহনপুরের ঠিকাদার অহিদুজ্জামান। পরে তার কাছ থেকে ঐ রাস্তা সংস্কারের কাজ কিনে নেন নাচোলের বিএনপি নেতা আজিম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের আত্মীয় কামরুল। প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারে আজিম ও কামরুল বালু ছাড়াই ১০ দিনের মধ্যে নিম্নমানের ইট দিয়ে হেরিং বন্ড এর কাজ যেনতেনভাবে সম্পন্ন করেন। কাজের মান যাচাই না করেই রাস্তা সংস্কারের বিলের অর্থ তড়িঘড়ি পরিশোধ করেছে নাচোল উপজেলা ত্রাণ কার্যলয়। বিশালপুর খেয়াপাড়া এলাকার সাইদুর রহমান জানান, কাঁচা রাস্তাটি সংস্কারে আমরা এলাকাবাসী চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ আলহাজ আমিনুল ইসলামকে অনেক অনুরোধ করি বরাদ্দের জন্য। তিনি রাস্তার সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন। ঠিকাদার ওই রাস্তায় বালি ফেলা ছাড়াই যেনতেন ভাবে এইচবিবি করণ করেন। এমনকি রাস্তার দু পাশে কোন ধরনের মাটি না দিয়ে কাজ শেষ করেন। বর্তমানে রাস্তার ইট এমনিতেই উঠে যাচ্ছে। তদন্ত করে সঠিকভাবে রাস্তা সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান তিনি।
বিশালপুর খেয়াপাড়া এলাকার অপর এক ব্যক্তি আমির হোসেন বলেন, আমাদের এই রাস্তা সংস্কারে বালি না দেওয়ার কারণে ইট উঠে যাচ্ছে। এই রাস্তায় যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা সঠিক ভাবে ব্যয় করলে রাস্তা পাকা হয়ে যাবে। রাস্তা সংস্কারের নামে লুটপাট করা হয়েছে অর্থ।
এ বিষয়ে ঠিকাদার আজিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সঠিকভাবেই রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মৌদুদ আলম খাঁ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাস্তাটি পরিদর্শণে গিয়েছিলাম, কিছু অনিয়ম রয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো সঠিকভাবে করা হবে।