আব্দুস সালাম বাবু, বগুড়া
আমন চাষে ব্যস্ত কৃষক
স্বস্থির বৃষ্টিতে আমন চাষে ব্যস্ত বগুড়ার কৃষক। মাঠগুলোতে পুরোদমে শুরু হয়েছে জমি প্রস্তুতের কাজ। রোপা আমন ধান চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে সবার। খরচ কিছুটা কম হওয়ায় প্রতি বছরই লাভের মুখ দেখে চাষীরা, এবারও ভালো ফলনে ভালো দামের প্রত্যাশা। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ধান চাষ হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারও জেলায় আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
প্রখর রোদের কারনে জমিতে পানি না থাকায় কিছুটা দেরী করে এবার জেলায় আমন চাষ শুরু হয়েছে। অনেক এলাকায় শ্যালো মেশিন অথবা গভীর নলকুপের সেচ দিয়ে জমি প্রস্তুত করে আগাম চাষাবাদ শুরু করেছেন। তবে গত মাসের শেষ সপ্তাহে টানা বৃষ্টিপাতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এতে চাষীরা জমিতে চাষ দেয়াসহ জমি চাষাবাদের জন্য কাজ শুরু করেছেন। অনেকেই তাদের জমিতে ধানের চারা রোপন করেছেন।
বগুড়া সদর ও গাবতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় চাষীরা জানান, ইরি ধানের চেয়ে খরচ কিছুটা কম হওয়ায় প্রতিবছরই আমন চাষ করে থাকেন। বৃষ্টি হওয়ায় এখন তারা চাষাবাদে ব্যস্ত। সেচ খরচ নেই বললেই চলে, তবে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় আমন চাষে। জেলার শেরপুর, শিবগঞ্জ, নন্দীগ্রাম সহ প্রায় সব উপজেলাতেই আমনের চাষ হয়ে থাকে।
জানা গেছে, ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচে বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২০ মন ধান পাওয়া যায়। জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত ধান রোপন করে চাষীরা। আগাম জাতের ধান অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে কাটা শুরু হলেও নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ধান কর্তন শেষে কৃষকের ঘরে উঠে সোনালী ফসল। জেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার টন। এ পর্যন্ত জেলায় কৃষক ৪০ শতাংশ জমিতে আমন রোপণ করেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, সব ঠিক থাকলে এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে। উচ্চ ফলশীল ধান জাতের ব্রি-ধান ৮৭, ব্রি-ধান ৭৫, বিনা ধান-১৭ সহ অনেক জাতের ধান রোপণ করা হচ্ছে। এ জাতের ধান আগাম চাষ হয়ে থাকে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দুলাল হোসেন জানান, ধানের ভালো থাকায় কৃষক এবারো আমন চাষে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে গত বছরের চেয়ে এবারও ভালো ফলন হবে বলে প্রত্যাশা করেন কৃষি কর্মকর্তা।