ঝালকাঠি প্রতিনিধি

  ০২ আগস্ট, ২০২২

ঝালকাঠিতে বর্ষায় তরমুজ চাষে লাভের আশা

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় এ বছর ৫ হেক্টর জমিতে বর্ষা মৌসুমে কৃষি গবেষণায় উদ্ভাবিত বারি-০২ জাতের তরমুজের চাষ হয়েছে। এই তরমুজের ভিতরের অংশটি হলুদ রঙের, উৎপাদন হেক্টর প্রতি ১৪ মে.টন। অফ মৌসুম বলে ভালো দাম পাওয়ার আশা চাষির।

প্রতিটি গাছে ৩ থেকে ৪টি করে তরমুজ হয়। বর্ষা মৌসুম বলে তরমুজ ঝাকা বানিয়ে ঝুলিয়ে রাখতে হয়। স্বাভাবিক মৌসুমে কৃষকরা চরাঞ্চলের ক্ষেতে বীজ রোপণ করেন এবং মাটির উপরেই গাছ থেকে ফলন বের হয়। আর বর্ষা মৌসুমের প্রতিটি তরমুজের গড় ওজন ৪ কেজি। ইতিমধ্যেই মাঠ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে ব্যাপারীরা কেনার জন্য কৃষকের কাছে যোগাযোগ করছেন।

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মানপাশা গ্রামের উচ্চশিক্ষিত যুবক মোঃ বদরুল আলম জানান, সে তার বাড়ির কাছে রাস্তার পাশে ১২০ ফিট জুড়ে ৭২টি বারি-০২ জাতের তরমুজের বীজ রোপন করেন। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে রোপণ করা এই বীজ থেকে জুলাই মাসের শেষে এসে ফল উত্তোলনের পর্যায়ে এসেছে। বদরুল আলম জানান, এবার ২ শতাধিক তরমুজের উৎপাদন হয়েছে। গড় ওজন ৪ কেজি। ইতিমধ্যেই তার ক্ষেত থেকে তরমুজ কেনার জন্য কেজি প্রতি ৪৫ টাকা দরে তরমুজ কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ফল ব্যবসায়ীরা। তার এই চাষাবাদে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং সে আশা করছে কমপক্ষে মাঠ পর্যায় থেকে এই তরমুজ বিক্রি করে ৩৫ হাজার টাকা পাবেন।

এলাকার কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহ্ জালাল জানান, মোঃ বদরুল আলম এই এলাকার লিডিং কৃষক। তিনি কৃষি গবেষনায় উদ্ভাবিত বারি-০২ জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মতো তিনিও আনন্দিত।

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি জানান, তার এই উপজেলায় প্রথমবারের মতো এই নতুন জাতের তরমুজের চাষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ৫ হেক্টরে আবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো। ভালো দাম পাবেন। কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শসহ সকল ধরনের সহযোগীতা দিচ্ছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঝালকাঠিতে,তরমুজ চাষে,লাভের আশা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close