গাজীপুর প্রতিনিধি

  ০১ আগস্ট, ২০২২

ভাওয়াল বনে আবার পাখপাখালির মেলা  

ফাইল ছবি

গাজীপুর ভাওয়াল বনের অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে শাল সহায়ক বিভিন্ন প্রজাতির চারাগাছ রোপণ করছে বন বিভাগ। এতে বাগানগুলো হয়েছে দৃশ্যনন্দন। পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের ফলে দেশীয় বিরল এবং বিপন্ন বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ১০-১৫ফুট উচ্চতায় পৌঁছেছে। বনের ইকোসিস্টেম রক্ষাসহ ভাওয়াল বন বন্য পশুপাখির আবাস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে বনায়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে ঢাকা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।

ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে সুফল প্রকল্পের অধীন রেঞ্জটির ভবানীপুর, বারুইপাড়া ও রাজেন্দ্রপুর পশ্চিম বিটে ৮ হেক্টর বনে এনরিচমেন্ট বাগান হয়েছে। দ্রুত বর্ধনশীল মিশ্র প্রজাতি দিয়ে ভবানীপুর বিটে বাগান হয়েছে ১০ হেক্টর বনভূমিতে। এ ছাড়া কম্পোস্ট সারের মাধ্যমে ৫ হেক্টর বনে শাল কপিচ ব্যবস্থাপনা হয়েছে। রেঞ্জটির বিভিন্ন বিটে বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির চারাগাছ রোপনের মাধ্যমে বাগান হয়েছে ৫ হেক্টর বনে।

গাজীপুর সদর উপজেলায় বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এসব বনে কয়েক বছর আগেও চোখে পড়ার মতো শুধু শাল গাছ ছিল। বাগানে দেশীয় প্রজাতির কিছু চারাগাছ প্রাকৃতিক ভাবে গজিয়ে উঠলেও প্রতিবছর শুকনো মৌসুমে সেগুলোর অধিকাংশ মারা যেত। শালবন দেখে ন্যাড়া মনে হতো। বনের ঘনত্বও কম ছিল। তবে ৩ বছর ধরে শাল বনের পরিবর্তন হয়েছে। এক সময়ের ন্যাড়া বনে এখন দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বেড়ে উঠছে। বনে গাছের ঘনত্ব বেড়েছে। এতে বনে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যাচ্ছে। আনাগোনা বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের সরিসৃপের।

ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা জানান, শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুরে বনায়ন যেমন চ্যালেঞ্জ তেমনি রক্ষণাবেক্ষণও কঠিন। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে সুফল প্রকল্পের বনায়ন শতভাগ সফল করতে সব কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সুফলে সৃজিত বাগানসহ বনভূমি রক্ষায় প্রতিটি বিটে টহল কার্যক্রম জোরালো করা হয়েছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্পেশাল টহল দল গঠন করা হয়েছে। প্রতি বছর শুকনো মৌসুমে বনে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে বনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতো। তবে চলতি বছর কঠোর নজরদারি ও রেঞ্জাধীন অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি এলাকায় প্রচার প্রচারণা এবং উঠান বৌঠক করা হয়েছে। এতে সুফল প্রকল্পে সৃজিত বাগান বেড়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছে।

বারুইপাড়া বিট কর্মকর্তা আবুল কালাম মোহাম্মদ সামসুদ্দিন বলেন, সুফলের বাগান রক্ষায় স্থানীয় অধিবাসীরা এগিয়ে এসেছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বাগান পরিদর্শন করে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পাখপাখালির মেলা,ভাওয়াল বন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close