তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জে ৬ দিন ধরে দশম শ্রেণির ছাত্রী নিখোঁজ
সুনামগঞ্জে নারী ও শিশু পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পরে এক দশম শ্রেণির ছাত্রী নিখোঁজের ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও উদ্ধার হয়নি। নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী ঝিলিক উদ্ধার না হওয়ায় বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন তার মা-বাবা।
নিখোঁজ এসএসসি পরীক্ষার্থীর নাম লায়লা সোবহান ঝিলিক। সে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশগাও গ্রামের আব্দুস সোবহানের মেয়ে ও পলাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। এ বিষয়ে নিখোঁজ লায়লা সোবহান ঝিলিকের চাচা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে গত ২২ জুলাই (শুক্রবার) বিশ্বম্ভরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু নিখোঁজের ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও স্কুলছাত্রী ঝিলিককে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী ঝিলিককে উদ্ধারে পুলিশের পাশাপাশি গতকাল (২৫ জুলাই) মঙ্গলবার বিকালে র্যাব-৯, সিপিসি-৩(সুনামগঞ্জ) একটি লিখিত আবেদন করেন ঝিলিকের বড় ভাই কামাল হোসেন ।
থানার ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, গত (২১ জুলাই বৃহস্পতিবার) সকাল ৭ টায় ঝিলিক নিজ বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে মাঝাইড় গ্রামের আনুফা মাস্টরের বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়। কিন্তু প্রাইভেটের সময় অতিবাহিত হলেও ঝিলিক বাড়িতে না আসায় এ সময় তার পরিবারের লোকজন প্রাইভেট শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ঝিলিক প্রাইভেট পড়তে যায়নি। পরে পরিবারের লোকজন ঝিলিকের আত্নীয় স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলেও তার কোন সন্ধান পায়নি। এক পর্যায়ে তার পরিবারের লোকজন জানতে পারেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লক্ষ্মণশ্রী গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান সাঞ্জু মিয়ার মেয়ে নারী ও শিশু পাচারকারী চক্রের সদস্য সুমা আক্তার শাহজাদীর (২০) খপ্পরে পরে নিখোঁজ হয় ঝিলিক।
নিখোঁজ ছাত্রী ঝিলিকের মা রিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ে একজন সহজ সরল মানুষ। শাহজাদী নামের একটা মেয়ে ঝিলিককে নিয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশ তা জানার পরেও শাহজাদী ও তার মা বাবা কাউকেই আটক করেনি। আমার মেয়েকে উদ্ধারে পুলিশ, র্যাবসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে থানায় করা সাধারণ ডায়েরি তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অঞ্জন বলেন, নিখোঁজ স্কুলছাত্রী ঝিলিককে উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।