পাবনা প্রতিনিধি
পাবনায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রওশন আলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম, অনাচার, স্বেচ্ছাচারিতা এবং হাটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রতারণার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার ৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও একজন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় দুলাই মডেল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন দুলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান ও তাঁতিবন্দের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মৃধা।
তারা বলেন, ‘গত ১৭ জুলাই আমরা ৯ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও একজন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান একযোগে পাবনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও স্থানীয় সরকার বিভাগ, পাবনার উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পরে এটি নিয়ে গণামধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিভিন্ন মহলের চাপে এবং অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করেছেন হাটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ খান।’
তাদের দাবি- ‘ফিরোজ আহমেদ খান ডিসি অফিসে সই-স্বাক্ষর অস্বীকার করে যে অভিযোগ দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) যোগসাজসে করেছেন। ফিরোজ আহমেদ খান যে সই-স্বাক্ষর অস্বীকার করেছেন স্বাক্ষরের সঙ্গে তার বিভিন্ন মিটিংয়ের স্বাক্ষর, রেজলেশন বই ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টস, পরিচয়পত্র, ট্রেড লাইসেন্সসহ তার বিভিন্ন কাগজপত্রের সই-স্বাক্ষর যাছাই-বাছাই করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
সংবাদ সম্মেলনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তারা বলেন, ‘যদি এইসব যাছাই-বাছাই করে আমরা দোষী হই, তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক। আর যদি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ খানের প্রতারণা ধরা পড়ে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক।’
তারা আরও বলেন, ‘পাবনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও স্থানীয় সরকার বিভাগ, পাবনার উপ-পরিচালক মহোদয় যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না গ্রহণ করেন তাহলে বিভাগীয় কমিশনার ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে একযোগে অনাস্থা প্রস্তাব করবো। এছাড়াও প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুজানগর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান কল্লোল, সাগরকান্দির চেয়ারম্যান শাহীন চৌধরী, রানীনগরের চেয়ারম্যান জি, এম, তৌফিক আলম পীযুষ, মানিকহাটের চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম, ভায়নার চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন, আহম্মদপুরের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ও সাতবাড়ীয়ার চেয়ারম্যান আবুল হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই ৯ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও একজন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান পাবনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও স্থানীয় সরকার বিভাগ, পাবনার উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রওশন আলী ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিনের যোগসাজসে উপজেলা পরিষদের কার্যকরী সদস্যদের অগোচরে দূরভিসন্ধিমূলক ভাবে উপজেলা পরিষদের কোনও নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে এক তরফাভাবে সমস্ত কার্যপরিচালনার অভিযোগ আনা হয়।