কুষ্টিয়ার মডেল থানার ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী আবুল কাশেমকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির অনুপস্থিতিতে এবং অপরজনের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন- কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া ২নং মসজিদ গলি লেনের (স্কুলের পিছনে) বাসিন্দা মৃত. জহির উদ্দিনের ছেলে মো. আজাদ হোসেন (৫২) (পলাতক) এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হলেন হাউজিং এলাকার এ ব্লক নং ২৮০ এর বাসিন্দা মহিউদ্দিনের ছেলে মো. মিন্টু হোসেন (৪৫)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট রাত পৌনে ১০ টায় কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডের ফুড কিং নামক ফাস্টফুডের দোকান মালিক আবুল কাশেম দোকান থেকে বাসায় ফেরার পথে কুতুব উদ্দিন আহমেদ লেন দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় আসামিরা হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। আহত আবুল কাশেমকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় নিহতের ছেলে ইফতেখার আহমেদ নাইম বাদি হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আশরাফুল আলম তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৭ জুলাই দুইজনের বিরুদ্ধে হত্যার দায়ে জড়িত অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌসুলি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, কুষ্টিয়া মডেল থানার ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় পলাতক আসামি আজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশসহ ২৫ হাজার টাকার জরিমানা ধার্য এবং আসামি মো. মিন্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত।