মেঘনায় নদী ভাঙনে বিলীন ২৫ ঘরবাড়ি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় মেঘনা নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে গত কয়েকদিনের ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অন্তত ২৫টি ঘর-বাড়ি। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আরও অর্ধশতাধিক পরিবার। ভাঙন ঠেকানোর জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।
নদীতে ভিটে-মাটি হারিয়ে মানবেতর অবস্থায় আছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। ভয়ে অনেকেই ঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়েছেন। কেউ আবার টিনের ঘরই সরিয়ে নিচ্ছেন অন্যত্র।
জানা গেছে, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই নবীনগর উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা গেছে। গত কয়েকদিনে ওই ইউনিয়নের চিত্রী, চরলাপাং ও দড়িলাপাং গ্রামের অন্তত ২৫টি ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
চিত্রী গ্রামের বাসিন্দা আলেয়া বেগম জানান, শনিবার (২ জুলাই) দুপুরে রান্না করার সময় তাদের বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তারা কোনোরকম প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। ঘরের আসবাবপত্র-গবাদিপশু কিছুই রক্ষা করতে পারেননি।
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত খায়েস মিয়া জানান, মাত্র এক ঘণ্টার ভাঙনে তার ঘর বিলীন হয়ে গেছে। এখন মানবেতর অবস্থায় আছেন। এ অবস্থায় সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল সিদ্দিক বলেন, ‘ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নগদ অর্থ সহায়তা ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।’