মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
নারী মানবাধিকারকর্মীকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সালিসে মরিয়ম বেগম নামে এক নারীকে ব্যাপক মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় মুরাদনগর থানায় মামলা করার পর এজহারভূক্ত ৭ নাম্বার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (০২ জুলাই) সকালে আহত মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর দুপুরে উপজেলার ত্রিশ গ্রামে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামী জামাল হোসেনকে (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলায় অন্য আসামিরা হলো, উপজেলার উত্তর ত্রিশ গ্রামের মৃত শাহ আলম মেম্বারের ছেলে ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন (৪০), দেলোয়ার হোসেনেরব ছোট ভাই সুমন সরকার, রাসেল মিয়া, সুধন মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া, হাসু মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া, তবদল মিয়ার ছেলে রনি মিয়া, লতু মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাশিম জানায়, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, পূর্ব বিরোধ এবং গত ইউপি নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার অভিযোগে গত ২৮ জুন রাতে মুরাদনগর উপজেলার ত্রিশ গ্রামের নারী মানবাধিকারকর্মী এবং ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল এইড ফাউন্ডেশনের কর্মী মরিয়ম বেগমকে ডেকে এনে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠনে সালিশে বসেন ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। এই সময় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও তার দলবল মানবাধিকার কর্মী মরিয়মকে শ্লীলতাহানিসহ ব্যাপক মারধর করেন। আত্মরক্ষার চেষ্টা করে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করলেও হামলাকারীরা তাকে দৌড়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করেন। ঘটনার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।