বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
বাবুগঞ্জে সড়কের বেহাল দশা, সামান্য বৃষ্টিতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
বর্ষার পুরো মৌসুম শুরু হতে না হতেই সড়কে হাটু পরিমান কাঁদা জমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ছোট মীরগঞ্জ বাজারে।
অল্প বৃষ্টিতেই বাজারে প্রবেশের একমাত্র সিংহেরকাঠী-মীরগঞ্জ ও বাঙ্গাবুনিয়া খালের পারের সড়ক দুটিতে পানি জমে হাটু পরিমাণ কাঁদার সৃষ্ঠি হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। সিংহেরকাঠী সরদার বাড়ি প্রর্যন্ত সড়কটি কার্পেটিং হলেও ছোট মীরগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা পরিলক্ষিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক খানা খন্দকে ভরা ইটের সলিং হলেও মূল সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এ্যাড সামসুজ্জামান সোহেল হাওলাদার বাড়ির সম্মুখ থেকে বাজার পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায়।
বর্তমানে খালের পারে দুটি রাস্তা দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে পণ্য সরবরাহ করতে পারছেন না। চরম দূর্ভোগে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা ও বাজারের ব্যবসায়ীরা।
বাজারের রাইস মিল পরিচালনাকারী মোঃ সহিদুল ইসলাম জানায়, তার মীল শুধু নামে মাত্র খোলা রাখা হয়েছে। যোগাযোগের অভাবে কেউই ধান, চাল, ভুট্টা, হলুদ, মরিচ ইত্যাদি নিয়ে মিলে আসতে পারছেন না।
বাবুগঞ্জ বাজারের পরেই স্থান ও ঐতিহ্যের তালিকায় ছোট মীরগঞ্জ বাজারের নাম সকলেরই জানা। বর্তমানে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত বলতে বড় মীরগঞ্জকে বুঝায়। অতচ সত্যিকারের মীরগঞ্জ বলতে ছোট মীরগঞ্জকেই বুঝায়। তবে ওই বাজারে প্রবেশের মাত্র দুটি পথ। একটি হচ্ছে রহমতপুর ইউনিয়নের সিংহেরকাঠী গ্রামের মধ্য দিয়ে এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে একই গ্রামের সীমান্তে বাঙ্গাবুনিয়া খালের পার হয়ে বিকল্প সড়ক ব্যবস্থা। বাজারটি আড়িয়াল খাঁ নদের তীরে রহমতপুর এবং চাঁদপাশা ইউনিয়নের সীমান্তে অবস্থিত। তাই প্রধানত ইউনিয়নদুটির সীমান্তবর্তি সাধারন মানুষের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্র ছোট মীরগঞ্জ।
বাজার ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলাম জানায়, দুটি রাস্তার যেকোন একটি পাকা না হয়ে অন্তত ইটের সলিংও যদি হয় তাহলে বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন। অন্যথায় বর্ষার মৌসুমে তাদের বসে বসে খেতে হবে এমনকি পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসতে হতে পারে। বেশ কয়েকবার ভাঙ্গনের কবলে পরে বার বার স্থান পরিবর্তন করেও বর্তমানে বাজারটি টিকে আছে।
৫নং রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মৃধা মু. আক্তার উজ-জামান মিলন জানায়, সড়কটির বেহাল দশা কাটাতে গত অর্থ বছরে মাটির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। চলতি বছরে সড়কটির যতদূর পর্যন্ত কার্পেটিং করা আছে তার পর থেকে ছোট মীরগঞ্জ পর্যন্ত সড়কটি পাকা করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুটি পরিদর্শন করে নির্মাণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।