আল-আমিন মিয়া, পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

  ২৬ জুন, ২০২২

টুং টাং শব্দে মুখরিত পলাশের কামারশালা

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ।

ঘামছে কামার, পুড়েছে লোহা; তৈরি হচ্ছে ছুরি-বঁটি-দা। এসব তৈরিতে পুরোদমে কামারশালাগুলো সরব হয়ে উঠেছে। ভাঁতির ফাঁসফুস আর হাতুড়ি পেটার ঠুকঠাক ও টুং টাং শব্দে মুখরিত কামারশালাগুলো। সপ্তাহখানেক ধরে এমন ব্যস্ততা বেড়েছে ঘোড়াশাল পৌরসভা ও পলাশ উপজেলার শতাধিক কামারের দোকানে।

দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম ঈদুল আযহা। আর মাত্র কয়েক দিন পরেই কোরবানির ঈদ। এই ঈদের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কোরবানি। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলায় কামার শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগররা।

কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন সব ধারালো সামগ্রী। তবে এসব তৈরিতে এখনো আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া লাগেনি। পুরানো সেকালের নিয়মেই চলছে আগুনে পুড়ে লোহা হতে ধারালো সামগ্রী তৈরির কাজ। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এরই মধ্যে জমে উঠেছে দা, কাচি, হাসুয়া, কোপা, ছুরি-চাপাতির বেচাকেনা। ফলে এই মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা।

কামারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাজের ব্যস্ততায় নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই। তারা পুরোদমে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন।

উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর নতুন বাজার এলাকার কমল দাস নামে এক কামারের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি প্রায় ৩৫ বছর যাবত এ পেশায় জড়িত। কোরবানির ঈদ আসলেই আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। আমরাও এ সময়ের অপেক্ষায় থাকি। দেশি চাপাতিগুলো কেজি হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতি কেজি ওজনের চাপাতির দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া বিদেশি চাপাতির দাম ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে সারাবছর কাজ খুব কম থাকে, কোরবানি এলে কাজ বাড়ে। অনেক গ্রাহক সঠিক মূল্য দেন না। অনেক সময় ওইসব সরঞ্জাম বিক্রি কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকৃত পুঁজি উঠানো নিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকেন বলেও জানান এই কারিগর।

এদিকে হাবিবুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, কোরবানি ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তাই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে নেয়া হচ্ছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পলাশ,টুং টাং শব্দ,কামারশালা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close