কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

  ২৫ জুন, ২০২২

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, বেড়েছে দুর্ভোগ

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসিদের।

টানা ১৫ দিন পানিবন্দি থাকায় ঘরে থাকা চাল-ডাল ফুরিয়ে সীমাহীন কষ্টে ত্রাণের বিস্কুট, মুড়ি ও চিড়া খেয়ে দিনাতিপাত করছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতিটি সদস্য।

পানি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। প্রায় দেড় হাজার পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় মৎস্য চাষীদের ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে দাড়িয়ছে ২ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা। ১৫ হাজার ৮৫১ হেক্টর জমির ফসল এখনও পানির নিচে। এতে চরম মানবিক বিপর্যয়ের স্বীকার হয়েছে পানিবন্দি পরিবারগুলো।

এই পরিস্থিতিতে কুড়িগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ৮৫টি মেডিকেল টিম, ৯ উপজেলায় একটি করে মনিটরিং টিম এবং সিভিল সার্জন অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলার কথা বললেও সরেজমিনে গিয়ে মেডিকেল টিমগুলোর দেখা মিলছেনা। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে ১৮টি ভেটেনারি মেডিকেল টিম গঠন করলেও তাতে কোন সুফল পাচ্ছেনা খামারিরা।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানায়, এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। উপজেলাগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কাজ করা চলছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুযায়ী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে সরকারি সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

আব্দুল হাই আরও জানায়, বন্যার পানিতে গো-চারণভ, খড় ও দানাদার শষ্য তলিয়ে যাওয়ায় ১১ লাখ ৫২ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ২৪টি ভেটেনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এছাড়া শনিবার (২৫ জুন) প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ডা: মো: জসিম উদ্দিন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, চলতি বন্যায় এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৭৪২টি পুকুরের ৭০৫ জন মৎস্য চাষির ১১৫ মেট্রিকটন মাছ ভেসে গেছে।

খামারবাড়ির উপপরিচালক মো. আব্দুর রশীদ জানায়, বন্যায় ১৫ হাজার কুড়িগ্রামের ৮৫১ হেক্টর জরিম ফসল তলিয়ে গেছে। মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে ক্ষতিগ্রস্তদের পরামর্শ দেওয়াসহ তথ্য সংগ্রহ করছেন কর্মকর্তারা।

সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর এ মোর্শেদ জানান, বন্যার্তদের সহয়োগিতায় জেলা মেডিকেল অফিসারের নেতৃত্বে ৮৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ৯ উপজেলায় ৯টি মনিটরিং টিম কাজ করছে। তবে হাসপাতালগুলোতে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সাধ্যানুযায়ী বন্যা কবলিত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, কলেরা স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে নিয়োজিত টিমগুলো।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বন্যা,পরিস্থিতির,উন্নতি,দুর্ভোগ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close