স্বামীর সংসার ও ছয় বছরের শিশু সন্তানকে রেখে প্রেমের টানে স্কুলপড়ুয়া ভাগিনার সঙ্গে পালিয়ে গেছেন মামী সেলিনা আকতার (২৫) নামে এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় লালমনিরহাট জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মামী সেলিনা আকতার হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একাব্বর আলীর মেয়ে। ভাগিনা শফিউল ইসলাম সফি (১৬) এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী।

শুক্রবার (২৪ জুন) লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিনই সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বামী আবদুল্লাহ।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৫ সালে সেলিনা আকতারের সঙ্গে বিয়ে হয় আবদুল্লাহর। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালের দিকে মেয়ের স্কুলড্রেস কেনার কথা বলে স্ত্রী সেলিনা আকতার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। পরে আত্মীয়-স্বজন ও বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে জানতে পারেন পরকীয়া কারণে তারই ভাগিনার সঙ্গে (আপন চাচাতো বোনের ছেলে) পালিয়ে গেছেন স্ত্রী সেলিনা।

আবদুল্লাহর দুলাভাই আনছার আলী বলেন, ভাগিনার সঙ্গে মামী সেলিনার পরকীয়া সম্পর্কের কারণে অনেকবার স্থানীয়ভাবে সালিশও হয়েছে। গত একমাস আগেও সালিশ বৈঠকে তাদের দুজনকেই সতর্ক করে অঙ্গীকার নেওয়া হয় এমন কাজ দ্বিতীয়বার না করার। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিন্ন করা যায়নি। অবশেষে স্কুলপড়ুয়া ওই ভাগিনার সঙ্গে সংসার সন্তান রেখে পালিয়ে গেলেন আব্দুল্লাহর স্ত্রী সেলিনা আকতার।

তিনি আরও বলেন, ভাগিনা শফিউল ইসলাম সফি আব্দুল্লাহ আপন চাচাতো বোন বুলবুলির ছেলে। দুই বছর ধরে ভাগিনার সঙ্গে মামীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। সুযোগ বুঝে বাড়িতে রাখা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায় সেলিনা। এখন পর্যন্ত পলাতক মামী ও ভাগিনার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

সেলিনার স্বামী আবদুল্লাহ বলেন, ‘৬ বছরের একটি মেয়েকে রেখে ভাগিনার হাত ধরে সেলিনা কীভাবে যেতে পারে? আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না। যাওয়ার সময় সেলিনা আমার জমানো টাকা-পয়সা সব নিয়ে গেছে। এখন আমি অসহায়। এই মুখ আমি কীভাবে মানুষকে দেখাবো?’ এ কথাগুলো বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন সেলিনার স্বামী আবদুল্লাহ। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।