রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২৩ জুন, ২০২২

রৌমারীতে বন্যায় ভেঙে গেছে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবন

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের একটি আধা পাকা ভবন বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে গেছে। ইতোমধ্যে ওই কলেজের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বন্যার পানি থেকে রক্ষার উদ্যোগ না নিলে সম্পূর্ণ কলেজটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

গত কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের দুই পাশ দিয়ে অতিক্রম করছে এবং তীব্র স্রোতের কারণে কলেজের পশ্চিম পাশে গভীরতার সৃষ্টি হয়। ফলে আধাপাকা একটি বড় টিনশেড ভবন পুরোটাই বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কলেজের অন্য ভবনটিও ঝুঁকিতে রয়েছে।

জানা গেছে, কলেজটি প্রায় দেড় একর জমিতে ২০০২ সালে স্থাপিত হয়। কলেজটিতে প্রায় ৭’শ শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক ও কর্মচারী হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন ৩০ জন।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, গত রাতেই বন্যার পানির স্রোতে কলেজের আধা পাকা ভবনটি ভেঙে গেছে। একইভাবে ২০১৯ সালে ভয়াবহ বন্যায় কলেজ ও স্থানীয়দের যাতায়াতের একমাত্র পাকা ব্রিজটিও পানির স্রোতে ভেঙে যায়। পরবর্তীতে বাশের সাকোঁ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ওই কলেজে যাতায়াত করছেন। অপরদিকে কলেজে যাতায়াতের জন্য প্রায় ২’শ গজ একটি পায়ে হাঁটা রাস্তাটিও বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে এক বাশের সাকোঁ দিয়ে তারা পারাপার হচ্ছে। কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান জানান, প্রতিদিন ভবনটির একটু একটু অংশ ভেঙে যাচ্ছে। ফলে আমরা ভয়ে ক্লাশ করতে পারছি না। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কলেজটি টিকবে না।

রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবির জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য যে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল তা পানির স্রোতে ভেঙে গেছে। ভবনের পাশেই গভীরতার সৃষ্টি হয়েছে। এখনই উদ্যোগ না নিলে অন্য ভবনটিও ভেঙে যেতে পারে। কলেজে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে। এমনিতেই পাঠদানের কক্ষ সংকট। কলেজটি রক্ষা করতে হলে জরুরি ভাবে গাইডওয়াল নির্মাণ করা দরকার এবং একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য ঊদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি করছি।

রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল (ভার:) জানান, ভাঙন ঠেকাতে আপাতত জিও ব্যাগ দেয়া হচ্ছে। বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হবে এবং বিষযটি ঊদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ,রৌমারী,বন্যা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close