চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে প্রশাসনিক ভবন ও আবাসিকসহ চারটি ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের পুকুর খনন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়েছে পুকুরের চারপাশে থাকা ভবনগুলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ইতোমধ্যেই পুকুরের চারপাশে পাড় ভেঙে ধসে পড়েছে মাটি। পুকুরপাড়ের কাছেই অবস্থিত ভবনগুলোও ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব ভবনে আতঙ্ক নিয়ে অবস্থান করছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। ইতোমধ্যেই কেউ কেউ বাসা ছেড়ে চলে গেছেন। অনেকেই অন্য জায়গায় বাসা ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক সারাদেশে পুকুর ও খাল খনন উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স পুকুর ও চিতোষী আর এম উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর খনন উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়। এতে ৮৪ লাখ ৩১ হাজার টাকার চুক্তিমূল্যে চাঁদপুরের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আলিফ এন্টারপ্রাইজ কাজ শুরু করে।

পুকুরের মাঝখান থেকে ভেকু দিয়ে মাটি তুলে চারপাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়। তড়িঘড়ি করে পুকুর খননের কাজ সমাপ্ত করা হয়। ওয়াকওয়ে নির্মাণের সপ্তাহ পার না হতেই চারপাশ থেকে ওয়াকওয়ের মাটি ধসে পড়তে থাকে। পুকুরটি বারবার সেচেও প্রকল্পের বাকি কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন ঠিকাদার।

উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ মেহেদী হাসান বলেন, বেলে মাটি হওয়ার কারণে চারপাশের ওয়াকওয়ে থেকে মাটি পুকুরেই ধসে পড়েছে। এখানে এই প্রকল্পটি দেওয়া ঠিক হয়নি। মাটির ধস ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, পুকুর চারপাশে যেভাবে মাটি ধসে পড়েছে তাতে রাতে আমাদের ঘুম হয় না। কখন পুকুর পাড়ের ভবন ধসে পড়ে সেই চিন্তা। এখানে আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করা যাবে না। এখন পরিষদের বাইরে বাসা খুঁজছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন রশীদ বলেন, এ প্রকল্পটি আমাদের উপকার করতে গিয়ে ক্ষতি করে ফেলেছে। এটি আমাদের পুকুরের ভালো পাড়ও ভেঙে ফেলেছে। এখন আমাদের ভাঙন ঠেকাতে হবে, আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছি। এমপি স্যারের বিশেষ বরাদ্দ থেকে প্যালাসাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে ভাঙন ঠেকানো গেলে পরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।