সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি:
সরিষাবাড়ীতে পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং প্রচন্ড বৃষ্টিতে যমুনা, ঝিনাই ও সুবর্ণখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে ১২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তলিয়ে গেছে প্রায় ৩’শ হেক্টর পাট, রোপা-আমন বীজতলা, মরিচ ও শাক সবজির ফসলী জমি।
মঙ্গলবার (২১ জুন) পর্যন্ত ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ভারী বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বন্যাকবলিত সাতপোয়া, ভাটারা, কামরাবাদ, আওনা ও পিংনা ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করায় পাট ২’শ হেক্টর, আউস ধান ২৫ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ১০ হেক্টর, শাক সবজী ২৫ হেক্টর ও মরিচ ৫ হেক্টর আবাদি ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। উপজেলার ৪০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০০৩ ইং সালে ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের ধানাটা-জামিরা রাস্তায় ঝিনাই নদীর ওপর শিশুয়া-বাঘমারা সেতু নির্মাণ করা হয়। গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে শিশুয়া-বাঘমারা ব্রীজের সংযোগ সড়ক ভাঙনের কবলে পড়েছে।এতে দুর্ভোগে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, বন্যার্তদের জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা সরকারী বরাদ্ধ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাহিদা ইয়াসমিন জানান, এ পর্যন্ত ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠার কারণে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা জানান, জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। দুর্গত এলাকার চেয়ারম্যানের নিকট হইতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা পেলে বরাদ্দকৃত অর্থ ও চাল বিতরণ করা হবে। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।