মারুফ আহমেদ, কুমিল্লা

  ২০ জুন, ২০২২

বাড়ছে গোমতীর পানি, চর ডুবে দিশেহারা কৃষক

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ।

অব্যাহত বৃষ্টি আর উজানের ঢলে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সোমবার (২০ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান এই তথ্য জানান।

এদিকে, পানি বেড়ে যাওয়ায় গোমতীর চর ডুবে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চাষ করা নানা রকমের সবজি খেত তলিয়ে গেছে। এতে দিশোহারা হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলে চাষাবাদ করা কৃষকরা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, সোমবার দুপুরে গোমতী নদীর টিক্কারচর পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৯০ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিলো। এখানে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৭৫ মিটার পর্যন্ত। পানি বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত পানি প্রবাহ ৪০ সেন্টিমিটারের মত বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার গোমতী নদীর আলেখারচর, আমতলী, বালি খাড়া, কামার খাড়া, টিক্কারচর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় পানি বেড়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ স্থানে নদীর চর পর্যন্ত ডুবে গেছে। এতে চরে বিভিন্ন শাক, সবজি চাষাবাদ করা কৃষকরা পড়েছে হুমকির মুখে।

শফিক নামের এক কৃষক জানান, এবার ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪০ শতক জমিতে মুলা চাষ করেছেন। চরের পানি বেড়ে সব তলিয়ে গেছে। চরের ৮০ শতক জায়গায় কুমড়া চাষ করেছিলেন আব্দুর গফুর। আফসোস করতে করতে তিনি বলেন, আর সাতটা দিন গেলে কুমড়া বেঁচতে পারতাম। ৮০ শতক খেতের কুমড়া পানিতে তলিয়ে গেছে।

কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, রবিবার থেকে গোমতীর পানি বৃদ্ধি শুরু হয়। সোমবার গোমতীর চর তলিয়ে যায়। আমরা এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি জরিপ করতে কতজন কৃষকের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। তাদের তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষতিপূরণে যা করার দরকার তা করবো।

এদিকে, গোমতীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙ্গণ শঙ্কায় পড়েছে শত শত একরের ফসলী জমি। গোমতীর চরের দুই পাশে বিস্তির্ণ এলাকাজুড়ে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করেন চরের কৃষকরা। তবে পানি বাড়ার সাথে পানিতে এই চরগুলো বিলীন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গোমতী,পানি,বাড়ছে,কৃষক
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close