reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৯ জুন, ২০২২

প্রেমিককে বিয়ের চাপ দেওয়ায় গলা কেটে হত্যা: পুলিশ

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে পাখিকে (৩২) গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নেপথ্যে থাকা তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৯ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।

তিনি জানান, ফেসবুকে ২৯ মে পাখির সঙ্গে একই এলাকার শাহাদত নামের এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে তখন ওই নারী জানতেন না শাহাদত বিবাহিত। পরবর্তী সময়ে ওই নারী বিয়ের জন্য শাহাদতকে চাপ দেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও মনোমালিন্য হয়। যার জেরে শাহাদত ১৪ জুন রাতে গ্রামের নির্জন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে তাকে হত্যা করেন।

তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে উপজেলার পিতাম্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহাদত হোসেনকে আটক করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, শাহাদতকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জান্নাতুলকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য জান্নাতুলের হাত ও পায়ের রগ কেটে দেন এবং রক্তমাখা ছোরা ও জান্নাতুলের মুঠোফোনটি পার্শ্ববর্তী একটি ডোবায় ফেলে দেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, শাহাদতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ সকালে ওই ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা ও জান্নাতুলের মুঠোফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। শাহাদতকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার জান্নাতুলের প্রথম বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। তিন বছর পর তার বিচ্ছেদ ঘটে। প্রথম সংসারে জান্নাতুলের একটি মেয়ে আছে। এরপর ২০১৪ সালে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। সেই সংসারও ছয় মাসের ভেঙে যায়। এরপর জান্নাতুল মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। এর মধ্যে শাহাদতের সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরি হয় এবং শেষে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বড় বোনের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন জান্নাতুল। রাত আটটার পর থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি সবজিখেতে গলা ও হাত-পায়ের রগ কাটা অবস্থায় জান্নাতুলের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত জান্নাতুলের ছোট ভাই কাউছার আহমেদ বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পুলিশ,ফেসবুক,প্রেম
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close