লালমনিরহাট প্রতিনিধি

  ০১ জুন, ২০২২

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ 

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন হায়দারীয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের ভিত্তিতে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা দাবি করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক।

বুধবার (১ জুন) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়ের গোবর্দ্ধন হায়দারীয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

এর আগে গত সোমবার দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গণে ‘সচেতন এলাকাবাসী'র ব্যানারে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তোলেন নিয়োগবঞ্চিতরা।

সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সোবাহান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৩০ মে কতিপয় ‘সচেতন এলাকাবাসী’ ব্যানারে আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন ভাবে নিয়োগ বাণিজ্য অভিযোগ করেছেন। তাদের এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তারা আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল বেসরকারি শিক্ষক/কর্মচারী জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ অনুযায়ী আয়া ১ জন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ১ জন ও নিরাপত্তা কর্মী ১ জন পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির জন্য সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ মাসের ১৭ তারিখের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ০৮ মে ২০২২ তারিখে শুধু আয়া ১ জন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী ১ জন পদের জন্য প্রাপ্ত আবেদনের যাচাই-বাচাই করা হয়। আয়া পদে মোট ১২ টি আবেদন যার মধ্যে বয়সের কারণে দুটি আবেদন বাতিল হয়। পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে মোট ৪টি আবেদনই বৈধ্য বলে বিবেচিত হয়।

প্রধান শিক্ষক বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট মহা-পরিচালকের প্রতিনিধি গ্রহণের জন্য আবেদন করলে ৩টি পদের মধ্যে আয়া ১ জন এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী ১ জন পদে নিয়োগের জন্য অফিস আদেশ প্রদান করেন। যেটির স্মারক নাম্বারগুলো লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরেন তিনি।

প্রাপ্ত আদেশ অনুযায়ী ৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বোর্ড গঠন করা করে কর্তৃপক্ষ। নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৩ মে নিয়োগের নিমিত্তে আয়া ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদের উপস্থিত প্রার্থীদের পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ উপজেলার তৃষভান্ডার নছর উদ্দিন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদ্বয়কে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। এর পর ২৫ মে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগ পত্র প্রদান করে। বর্তমানে তারা বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।

আব্দুস সোবহান বলেন, বিধি মেনে এবং কোনো প্রকার উৎকোচ গ্রহণ না করে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। নিয়োগে বাণিজ্য হয়েছে এমন অভিযোগকারীরা উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করে আমাকে ও ম্যানেজিং কমিটিকে সামাজিকভাবে হীন প্রতিপন্ন ও লাঞ্চিত করছে।

প্রধান শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও মহিষখোঁচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মতিয়ার রহমান, আমিনুর রহমান, সোলায়মান কাজী, সাবের আলীসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নিয়োগ বাণিজ্য,প্রধান শিক্ষক
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close