কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
খেয়া পারাপারেই হাটের বেলা পার কৃষকদের!
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ফুলজোড় নদীর অববাহিকায় অবস্থিত নুরনগর, শসিকা, গাড়াবাড়ী, নুর নগর তালপট্টি, ডিডি শাহবাজপুরের চরগুলোর প্রায় অর্ধলাখেরও বেশি মানুষের বাস। কৃষির উপর নির্ভর করেই তাদের জীবনমান উন্নয়ন ও পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু চরাঞ্চলে কোন হাট-বাজার না থাকায় কৃষকদের নদী পার হয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের হাট বাজারে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে হয়। সেক্ষেত্রে নদীর উপর কোন সেতু না থাকায় ঐ চরাঞ্চলের প্রায় অর্ধলাখেরও বেশি মানুষকে খেয়া পারাপারের মাধ্যমেই হাট বাজারের সকল কাজ পরিচালনা করতে হয়। এতে করে শাক-সবজি নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে হাটের বেলা পার হয়ে যায় কৃষকদের। এতে করে ঐ এলাকার লোকজনের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে।
চরদশসিকা এলাকার আবুল হোসেন জানান, আমরা সারাবছর আবাদ বসত করে সেই ফসল নদীর ওপারের স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাই। কিন্তু আমাদের মূল সমস্যা নদী পারাপার। ঠিকমত নৌকা এবং মাঝি না থাকার কারণে নদী পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। এই নদীর উপর একটা ব্রিজ খুবই দরকার।
চরনুরনগর এলাকার কৃষক কামাল জানান, আমরা প্রতিদিন খুব ভোরে জমির ফসল তুলে তা বাজারের বিক্রির জন্য প্রস্তুত করি। পরে তা বাজারে নেওয়ার জন্য যখন নদীর পাড়ে যাই তখন নদীতে খেয়া পারাপারের জন্য কোন নৌকা থাকে না। একটা ছোট নৌকায় করে সব লোক পারাপার হতে হয়। এতে করে শাক-সবজি নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে হাটের বেলা পার হয়ে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানায়, আমরা ইতোমধ্যেই ফুলজোর নদীর উপর ব্রীজের জায়গা নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্রীজের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম শহিদুল্লাহ সবুজ জানায়, চরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ইতোমধ্যেই শসিকা থেকে চরদশসিকা এবং বেলাই থেকে চর নুরনগর পর্যন্ত দুইটি ব্রীজের প্রস্তাবনা স্ব স্ব অধিদপ্তরে দেওয়া হয়েছে। আশা করি চলতি অর্থবছরে না হয় আগামী অর্থ বছরে ব্রীজ দুটির কাজ কাজ শুরু করতে পারবো।