কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত
বাগেরহাটের শরণখোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে দুই শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা বিধ্বস্ত হওয়ার খরব পাওয়া গেছে। ঝড়ে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে বিদ্যুতের দুটি খুঁটি।
শুক্রবার (২৭ মে) বিকাল পৌনে ৩টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এতে উপজেলার খোন্তাকাটা, রায়েন্দা ও সাউথখালী ইউনিয়নের বেশি ক্ষতি হয়।
ঝড়ে উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। প্রায় চার ঘণ্টার পর রাত ৮টার দিকে শুধুমাত্র উপজেলা সদরের বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হলেও গ্রামের বিদ্যুৎ কখন দেওয়া হবে তা নিশ্চিত করেতে পারছে না বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা।
রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর কদমতলা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খায়রুল শরীফ বলেন, ‘বিকালে পূর্বাভাস ছাড়াই হঠাৎ বৃষ্টি ও ঝড় শুরু হয়। এ সময় প্রবল বাতাসে একটি চাম্বল গাছ উপড়ে আমার বসত ঘরে পড়ে। আমার ওয়ার্ডের অনেক মানুষের ঘরবাড়ি বিদ্ধস্ত ও বেশ কিছু গাছপালা ভেঙেছে।’
খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, ‘হঠাৎ ঝড় ও বজ্রপাতে রাজৈর গ্রামের এমাদুল হাওলাদারের একটি গরু মারা গেছে। কারও ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই আমাদের এলাকায়।’
সাউথখালী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন খলিল জানান, ঝড়ের পরে তাৎক্ষণিক খোঁজ নিয়ে জনেছেন তার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এক শর মতো কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বেশির ভাগ ঘর চাম্বল গাছ পড়েই ক্ষতি হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘ঝড়ে কিছু গাছপালা ভাঙার খবর পেয়েছি। তবে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর আমাদের কাছে নেই। তারপরও আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। যদি কারও গুরুত্বর কোনো ক্ষতি হয়, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’