গাজী শাহাদত হোসেন ফিরোজী, সিরাজগঞ্জ

  ২৫ মে, ২০২২

যমুনার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমলেও নদী ভাঙন কমেনি। গত কয়েক দিনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়তে থাকায় নদী তীরবর্তী নতুন নতুন অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙন। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই অঞ্চলের মানুষ। তবে বুধবার পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় যমুনার নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় পানি স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে পানির অবস্থান ১২.১৭ সে. মি.।

যমুনার পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও। পানি বৃদ্ধির কারণে ও তীব্র স্রোতের কারণে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা করছেন শহর ও নদী পাড়ের মানুষ।

সরেজমিনে, নদী-তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে দেখা গেছে। পানি কমলেও চলছে ভাঙন। ইতোমধ্যেই কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালী উপজেলাতে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।

তীব্র ভাঙনে ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে জেলার চৌহালী, শাহজাদপুর, কাজীপুর ও এনায়েতপুরে ভাঙন তীব্রতা বেশি। এ এলাকায় বন্যার আশঙ্কা করছেন শহরবাসী। এরই মধ্যে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজিপুরের ওমর আলী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি কমেছে .১২ সে. মি.। বর্তমানে ১৩.৯৪ সে. মি. পানি বিরাজমান।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধসহ সব এলাকাতেই যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় পানি স্থিতিশীল রয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আরও কয়েক দিন এই স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, যমুনা নদীতে পানি বাড়ার কারণে নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। এতে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি এলাকা। কিছু স্থানে নদী ভাঙন রয়েছে। তবে ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। এখনও ভাঙনরোধে ৩০ হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যেই ৯৬ হাজার জিও ব্যাগ এর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সিরাজগঞ্জ,যমুনা,নদী ভাঙন,ভোগান্তি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close