মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রশিক্ষণ ভাতা না দিয়ে উল্টো অর্থ আদায়ের অভিযোগ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জন্য তিন মাসের আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ শেষে ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে উল্টো প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৩৫০ টাকা করে আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) শিরিন সুলতানার বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ারা এই অভিযোগ করেন।
তারা জানান, প্রশিক্ষণে অংশ নেয়াদের কাছ থেকে বিভিন্ন ফি বাবদ প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩৫০ টাকা করে আদায় করেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা।
সূত্রে জানা যায়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত তিন মাস মেয়াদে ফ্যাশন ডিজাইন ও ক্রিস্টাল সোপিচ ২টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মাসে ২০ দিন করে তিন মাসে মোট ৬০ দিন এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এ জন্য প্রতিটি ব্যাচে ২৫ জন ফ্যাশন ডিজাইন এবং ২৫ জন ক্রিস্টাল সোপিচ বিষয়ে মোট ৫০ জন নারীকে নির্বাচিত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এসব প্রশিক্ষণার্থী নারীদের প্রত্যেককে দৈনিক যাতায়াত ভাতা হিসেবে ২০০ টাকা করে ১২ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধের কথা থাকলেও তারা তা পাননি ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী অভিযোগ করেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন সুলতানা প্রশিক্ষণ শুরুর প্রাক্কালে প্রশিক্ষণার্থী ৫০ জন নারীর কাছ থেকে ভর্তি ফরম বাবদ ৫০ টাকা, ভর্তি ফি বাবদ ১০০টাকা এবং প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেট বাবদ ১২০টাকা ও আয়া বাবদ ৮০ টাকাসহ জন প্রতি মোট ৩৫০ টাকা করে আদায় করেন।
অথচ গত ২৬ এপ্রিল ওই প্রশিক্ষণার্থীদের উপজেলা নারী বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ভাতার ১২ হাজার টাকার মাস্টার রোলের কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়। কিন্তু প্রশিক্ষণার্থীরা এ প্রতিবেদন লেখা (২৪ মে) পর্যন্ত তাদের ভাতা বুঝে পাননি বলে জানান। এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন সুলতানার সাথে কথা বলতে তার অফিসে গিয়ে তাকে না পেয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, এই প্রশিক্ষণে আমরা কোনো প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি করি না, টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। যদি অফিসে কেউ টাকা নিয়ে থাকে সে দায়ভার আমার না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ফেরদৌস বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।