মৃণাল সরকার মিলু, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)

  ২২ মে, ২০২২

ঘোড়ার গাড়িতে কৃষিপণ্য পরিবহনে কদর বাড়ছে

কৃষিপণ্য পরিবহনে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঘোড়ার গাড়ির কদর দিন বাড়ছে। চলনবিল অধ্যুষিত এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলি মাঠ বিলের মাঝে হওয়ায় ঘোড়ার গাড়িতে ধান বহন করতে খরচ কম। এখানকার গ্রামীণ এলাকার কৃষিপণ্য পরিবহনে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় নির্মিত পরিবেশবান্ধব ঘোড়ার গাড়ির কদর বাড়ছে।

জানা যায়, পুরাতন কাঠের চাকার বদলে পিকআপের পরিত্যক্ত চাকা বসিয়ে গ্রামীণ মানুষরা তৈরি করছেন এই নতুন শ্রেণির ঘোড়ার গাড়ি। শুধু কৃষিপণ্য নয়, ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার হচ্ছে ইটসহ বিভিন্ন ধরণের রকমারি পণ্য পরিবহনে। এ কারণে ধান ও নিত্যপণ্য আনা-নেওয়ার কাজে ঘোড়ার গাড়ির ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে।

উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের দোবিলা গ্রামের বাসিন্দা সাগর তালুকদার জানান, গ্রাম থেকে ফসলি মাঠ দূরে। সেখান থেকে ধান কাটা ও বহনের জন্য শ্রমিকদের ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা দিতে হয় বিঘা প্রতি। সেখানে ধান কাটতে শ্রমিকদের আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়, আর ঘোড়ার গাড়িতে বহনে দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকা দিতে হয়। এতে প্রতিবিঘা ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ থেকে বেচে যাচ্ছে। তাই এ অঞ্চলের কৃষক এখন ঘোড়ার গাড়িতে করেই কৃষিপণ্য বহন করছেন।

ঘোড়ার গাড়িচালক আব্দুল বারিকসহ কয়েজন জানান, তারা সাধারণত মাইক্রোবাসের পুরোনো চাকা দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি তৈরি করেন। প্রতিটি গাড়ি তৈরি করতে খরচ পড়ে ১২-১৪ হাজার টাকা। আর ঘোড়া কিনতে লাগে আরও ২৫-৩০ হাজার টাকা। দিনে আয় হয় ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। যেখানে অন্য কোনো গাড়ি সাধারণত চলাচল করতে পারে না, সেখানেই তারা মালামাল বহন করে থাকেন বলেও জানান তারা।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কৃষিপণ্য,ঘোড়ার গাড়ি,তাড়াশ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close