চরফ্যাশন-ভোলা প্রতিনিধি

  ২১ মে, ২০২২

চরফ্যাশনে চৈতি হত্যাকান্ডের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান, পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ।

ভোলার চরফ্যাশনে আলোচিত চৈতি হত্যাকান্ডের ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে প্রেসক্লাবে তার পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে।

শনিবার (২২ মে) দুপুরে চৈতির বাবা সুভাষ চন্দ্র রায় লিখিতভাবে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, গত ৫ মার্চ বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের মাস্টার্স শেষ বর্ষে পড়ুয়া তার মেয়েকে শশুরালয়ে মধ্যরাতে শ্বশুর শাশুড়ি ও স্বামী যৌতুকের জন্য মারধর করে। ঘটনার দিন চৈতিকে খাবারের সাথে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে অজ্ঞান অবস্থায় হত্যা করে সিলিং ফ্যানের সাথে লাশ ঝুলিয়ে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে।

সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চৈতির হত্যাকান্ডে থানায় সুবিচার চেয়ে থানায় মামলা করতে গেলে ওসি (তদন্ত) রিপন কুমার সাহা এটিকে আত্মহত্যা বলে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন। আমি প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, আমি যেভাবে মামলার অভিযোগ লিখে দিবো সেভাবে মামলা হবে। পরে ওসি তদন্ত রিপন সাহা আমার অজ্ঞতা, বিপর্যস্ত মানসিকতার সুযোগে চৈতির স্বামী, শ্বশুর শাশুড়ির প্ররোচণায় চৈতি আত্মহত্যা করেছে বলে এই মর্মে নিজেই একটি মামলা লিখে স্বাক্ষর নেন। আমি মামলার বিবরণ জানতে চাইলে তিনি আমার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন। মামলার তিন আসামির মধ্যে ২ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, মামলার পর থেকেই আসামিপক্ষের সাথে থানা পুলিশের সখ্যতা ও প্রভাব বিস্তারের কারণে দেড় মাস পরে গত ২৩ এপ্রিল/২২ ময়না তদন্তের রিপোর্টে নানা রকম অসঙ্গতি ও পক্ষপাতমূলক রিপোর্ট আমি প্রত্যাখান করছি। ময়না তদন্তের রিপোর্টটি সঠিক নয়। কারণ লাশের সুরতহাল করার সময়ে আমাদের স্বাক্ষ্য না নিয়ে সাক্ষী হিসেবে আসামির ভাই শিশির মজুমদার ও তার বন্ধু বান্ধদের স্বাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আমি পূনরায় লাশের পূন:ময়না তদন্ত ও মামলা পিবিআই/ সিআইডিতে হস্তান্তের দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেছি। যার মামলা নং১৫৯/২০২২।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চরফ্যাশন,চৈতি হত্যাকান্ড,রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close