হাবিব নামের ৫ মাসের এক শিশু ও তার তার মা মোছা. হাফসা আকতারকে (২৬) গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (২১ মে) ভোরে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের নতুনবন্দর হাজিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোরে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ প্রতিবেশী আব্দুর সবুর নামে এক ব্যক্তির পুকুরপাড়ের পূর্ব পাশে ধান খেত থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ ও পাশেই শিশুরটির মা হাফসাকে গলাকাটা অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায়। পরিবারের লোকজন হাফসাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎিসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বিকেল ৪টার দিকে মায়েরও মৃত্যু হয়।

নতুনবন্দর হাজিপাড়া আব্দুর সবুর বলেন, ভোরবেলা পুকুরপাড়ের পূর্বপাশে ধান খেতে গোঙানির শব্দ পেয়ে আগায়া গিয়ে দেখি, হাফসাকে গলাকাটা অজ্ঞান অবস্থায় ও তার পাশে গলাকাটা অবস্থায় শিশুটি পড়ে আছে। আমি চিৎকার দিলে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এলে রৌমারী থানার পুলিশকে মোবাইল করে সংবাদ দেই।

মৃত শিশুর মামা হাশিনুর জানান, আমার বোন হাফসাকে গত দেড় বছর আগে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের উকড়াকান্দা গ্রামের বাহাদুরের ছেলে সাহেব আলীর সাথে বিয়ে দিই। বোনের ঘরে ৫মাস আগে হাবিব নামের এক ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। জন্মের পর থেকে শিশুটির খিচুনী রোগ ছিল। গত বৃহস্পতিবার বোনের উকিল বাপকে সঙ্গে নিয়ে কুড়িগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায়। সেখান থেকে দুপুর ২ টার দিকে ফিরে আসার সময় আমার সাথে মোবাইলে কয়েক মিনিট কথা হয় এব্ং এরপর থেকে তার সাথে আর যোগাযোগ হয়নি।

রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকা লাশ উদ্ধার করি। লাশের সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।