আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি
যৌতুকের জন্য দ্বিতীয় স্ত্রীকে নির্যাতন করে জেলে শিক্ষক
নওগাঁর আত্রাইয়ে যৌতুক ও নির্যাতনের দায়ে স্ত্রীর করা মামলায় স্কুলশিক্ষক কে এম দেলোয়ার জেল-হাজতে। গত ১৯ মে বৃহস্পতিবার মামলার আসামি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে শুনানিশেষে বিচারক তাকে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দেলোয়ার আত্রাই উপজেলার চৌরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ব্রজপুর গ্রামের কে এম আয়দুল ইসলামের ছেলে।
মামলার এজাহারে স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মীম উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের জুলাই মাসের ২০ তারিখে কে এম দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বাবার বাড়ি থেকে আমাকে ৩ লাখ টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। মেয়ের সংসারে সুখের কথা চিন্তা করে আমার বাবা গত বছর ৫০ হাজার টাকা এবং বর্তমান বছরের প্রথম দিকে এক লাখ টাকা দিয়ে আর দেওয়া সম্ভব নয় জানালে গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমার স্বর্ণালংকার কেড়ে নিয়ে রাত আনুমানিক ৯ টায় এক কাপড়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। খবর পেয়ে আমার বাবা-মাসহ কয়েকজন মাঝরাস্তা থেকে আমাকে বাড়িতে নিয়ে যান।
এরপর আপস-মীমাংসার জন্য গত মার্চ মাসে জামাইকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়ে বাবা-মাসহ স্বাক্ষীরা যৌতুকের দাবি ত্যাগ করে শান্তিতে ঘর-সংসার করার অনুরোধ করলে আসামি যৌতুকের দাবিতে অনড় থাকে। সেই সঙ্গে ২/১ দিনের মধ্যে ৩ লাখ টাকা নিয়ে না আসলে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বড়লোক বাড়িতে বিয়ে করার কথা বলে চলে যান। ইতঃপূর্বে দেলোয়ার একটি বিয়ে করে যৌতুকের অজুহাতে সেই বউকে তালাক দিয়ে বিষয়টি গোপন রেখে আমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে, যা পরবর্তীতে আমি জানতে পারি।
আপস-মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে ন্যায়বিচারের স্বার্থে বাদী বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করলে গত বৃহস্পতিবার দেলোয়ার আদালতে হাজির হয়। শুনানি শেষে নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত ৮ এর বিচারক আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।