মাদারীপুর প্রতিনিধি
নেপথ্যে পরকীয়া প্রেম
নাবালিকা বোনকে বিয়ে দেয়ায় মায়ের বিরুদ্ধে ছেলের মামলা
নিজের পরকীয়া টিকিয়ে রাখতে প্রেমিক মোহসিন মোল্লার (২৫) কাছে নাবালিকা মেয়ে মারুফা (১২)-কে বিয়ে দিলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমানের স্ত্রী নার্গিস বেগম। মুহসিন মোল্লা ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার ভাওয়াল গ্রামের মাজেদ মোল্লার ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার গৌরবর্দী গ্রামে।
জানা গেছে, গত ৭ বছর আগে স্ত্রী নার্গিস বেগম ও ৪ বছরের শিশুকন্যা মারুফাকে রেখে প্রবাসে চলে যান মিজানুর রহমান। অন্যদিকে মেয়ে বড় হতে চলেছে। স্থানীয় গৌরবদী হযরত খাদিজা রাঃ মহিলা মাদ্রাসায় কেতাবখানার ছাত্রী। মোহসিন মোল্লা স্থানীয় গৌরবর্দী গ্রামের মাতুব্বর বাড়ি গ্রামের মসজিদে ইমামতি করা অবস্থায় মাতুব্বর বাড়িতে থাকাকালে প্রবাসী মিজানুর রহমানের বাসায় মাঝে মধ্যে খাবার খেতে যেত। সেই সুবাদে প্রবাসী মিজানুর রহমানের স্ত্রী নার্গিসের সঙ্গে মোহসিন মোল্লার সখ্যতা। সেখান থেকে শুরু হয় শারীরীক সম্পর্ক। আশেপাশের প্রতিবেশীরা বিষয়টিকেও ভালভাবে দেখছে না। বিষয়টি নার্গিস বেগম আচ করতে পেরে সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েকে ওই প্রেমিক মুহসিন মোল্লার সঙ্গে বিয়ে দেয়ার। তাতে সাপও মরবে, লাঠিও না ভাঙবে না। এক কথায় ‘এক ঢিলে দুই পাখি শিকার’ অর্থাৎ মেয়ের জামাইও হল আর তার শারীরীক চাহিদাও পূরণ হলো। এমনটা ভেবে প্রবাসী স্বামীকে না জানিয়ে নার্গিস বেগম গত ৮ এপ্রিল তার কিশোরী মেয়েকে ব্যাংক একাউন্ট স্বাক্ষর লাগবে বলে ফুসলিয়ে ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার ভাওয়াল গ্রামে মোহসিন মোল্লার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে নিকাহনামায় স্বাক্ষর করিয়ে তার সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দেন। বিয়ের পর সেখানেই রাখা হয়। এরপর বাড়িতে এসে মারুফাকে ওখানকার একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিয়েছে বলে জানান।
ঘটনাটি আস্তে আস্তে প্রতিবেশীরা জানতে পারলে প্রবাসী মিজানুর রহমানের কাছে তারা জানান। এ ঘটনার পর নাবালিকা শিশুর ভাই বাদী হয়ে মোহসিন মোল্লা ও মা নার্গিস বেগমসহ মোট ৬ জনেক আসামি করে সদর মডেল থানা মাদারীপুরে একটি মামলা দায়ের করেন, যার নং-৪০।
এ ব্যাপারে বাদী রুবায়েত মাতুব্বরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মা হয়ে বাবার কাছে গোপন করে শিশু বোনকে বাল্য বিয়ের অপরাধে মায়ের বিরুদ্ধে মামলা দিতে বাধ্য হয়েছি। আমি আদালতে ন্যায়বিচার আশা করছি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করছে মাদারীপুর মডেল থানা পুলিশ।