আজিজুল বুলু, নীলফামারী

  ১২ মে, ২০২২

ফসলি জমির পাশে ইটভাটায় ক্ষতিগ্রস্থ দেড়শত কৃষক, তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ।

তিনটি ইটভাটার মালিক প্রভাব খাঁটিয়ে ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তিন ফসলি জমির পাশে ইটভাটার কর্মযজ্ঞ চলছে বেপরোয়াভাবে। এই তিনটি ইটভাটার নির্গত কালো ধোয়ার বিষাক্ত গ্যাসে দেড়শতাধিক কৃষকের উঠতি বোরো ফসল ঝলসে নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা আগামী দিনগুলো কিভাবে খাদ্য সংকট মোকাবেলা করবে; সেই চিন্তায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তবে ক্ষগ্রিস্থ কৃষকদের লিখিত অভিযোগের ভিক্তিতে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নীলফামারীর সৈয়দপুর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সালাউদ্দিন প্রতিদিনের সংবাদের নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি আজিজুল বুলুকে বলেন, জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে মনসুর আলী, আনিচুর রহমান ও পিরোজ আহম্মেদ মুসা একটি করে তিনটি ইটভাটা গড়ে তুলেছেন। এই তিনটি ইটভাটার কর্মষজ্ঞের শেষ পর্যায়ে নির্গত কালো ধোঁয়ার বিষাক্ত গ্যাসের ছোবলে প্রায় দেড়শতাধিক কৃষকের ফসল নষ্টের অভিযোগ সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিম হোসাইন বরাবর করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।

এ অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ মে উপজেল চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনসহ সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমাকে তদন্ত কমিটির আহ্বাক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান, তিনটি অবৈধ ইটভাটা’র কর্মযজ্ঞে আশপাশের তিন ফসলি শত-শত হেক্টর জমির মালিকদের ভাটার কালো ধোঁয়ার ছোবলে ফসলহানীর ঘটনা ঘটে প্রতিবছর। এই তিনটি ইটভাটার মালিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে উপজেলা-জেলা প্রশাসনের কাছে ধর্ণা দিয়েও এর কোন প্রতিকার না পেয়ে নিরবে খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাই দেড়শতাধিক ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা একজোট হয়ে প্রভাবশালী ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের দলনেতা মতিউর রহমান বলেন, ইটভাটার কারণে উঠতি ফসল বোরো ধান নষ্ট হয়ে যাওযায় আগামী দিনগুলো কীভাবে তারা খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলা করবে; সে চিন্তা তাদের।

এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলছেন, তদন্ত প্রতিবেদনে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা হাতে পেলেই নেয়া হবে বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা। এছাড়াও নীতিমালা অনুসরণ করে ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নিয়ে তা বন্ঠন করা হবে ক্ষতিগ্রস্থদের। তিনফসলি জমির পাশে ইটভাটা কর্মযজ্ঞে অনুমতি পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি কিভাবে পেল? এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ফসলী জমি,ইটভাটা,ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close