মো. দুলাল মিয়া, নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

  ১১ মে, ২০২২

বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ নাঙ্গলকোটবাসী

প্রতীকী ছবি।

বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলাবাসী। আকাশে মেঘ জমলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ যে যায়, কখন যে আসবে তার দেখা মিলেনা। আবার দেখা যায় কোন কোন গ্রামে দুই তিন দিনেও বিদ্যুৎ আসে না। যতক্ষণ মেঘ-বৃষ্টি থাকে, ততক্ষণ বিদ্যুতের দেখা মেলে না। এর বাইরেও ঘন ঘন লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ বিপর্যয় তো রয়েছেই।

ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলে পুরো উপজেলায় বিদ্যুতের গ্রাহক ৮৯ হাজার। দু'টি সাভ স্টেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছেন নাঙ্গলকোট পল্লী বিদ্যুৎ অফিস।

খবর নিয়ে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুতের নিয়োগকৃত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিম্নমানের বিদ্যুৎ সামগ্রী ব্যবহার করার ফলে একটু বাতাস বা ঝড়ো হাওয়া হলে তারগুলো ছিড়ে যায়। আবার রোদের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ওইসব তার গলে যায়। এতে করে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে খবর নেয়ার জন্য নাঙ্গলকোট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ফোন করলে তারা রিসিভ করেন না। বা তাদের ফোনগুলো বিজি করে রাখেন। এমনি অভিযোগও রয়েছে গ্রাহকদের। বিদ্যুৎ না থাকার জন্য কোনো সচেতনমূলক মাইকিং বা পচার পচারণা করেন না তারা।

এদিকে নাঙ্গলকোট বিদ্যুৎ অফিস বলছেন, বিদ্যুতের ভোগান্তির জন্য কখনো লোডশেডিং, কখনো সঞ্চালন লাইনে ত্রুটি, কখনো গাছ কাটা আবার কখনো ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যাওয়াসহ নানা সমস্যা হয়ে থাকে। ফলে বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করে।

নাঙ্গলকোট পৌর বাজার ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জাহিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত মঙ্গলবার ও বুধবার আকাশে মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চলে যায় বিদ্যুৎ। একবার আসে একবার যায়। এ দু’দিন অন্তত ১৫-১৬ আসা যাওয়া করে। কি করে ব্যবসা করবো। আমাদের অনলাইনের ব্যবসা বিদ্যুৎ ছাড়া এক মুহুর্তেও চলে না।

এ বিষয় গোমকোট গ্রামের ব্যাংকার গোলাম মর্তুজা শাহিন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে বাড়ি আসছি। বাড়িতে দেখি দুইদিন ধরে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্ট হয়েছে। দেশে এতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। আর নাঙ্গলকোটে দেখি বিদ্যুৎ আসে যায়।

নাঙ্গলকোট উপজেলা আ'লীগের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল আফসার তার ফেইসবুক ওয়ালে লিখেন, বিদ্যুৎ বিড়ম্বনায় মানুষ অতিষ্ঠ। মাননীয় অর্থমন্ত্রীর শতভাগ বিদ্যুতায়নের সাফল্যকে কিছু মহল ইচ্ছাকৃত প্রশ্নবৃদ্ধ করছেন মনে হয়।

এ ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ঘরের ইলেকট্রনিক পণ্য নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে, বিদ্যুতের সমস্যার কারণে সবচেয়ে বেশি ভুগছে শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে এজিএম মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আকাশে বিদ্যুৎ চমকালে লাইন পড়ে যায়। এর আগে না। পল্লী বিদ্যুতের সরঞ্জামাদিগুলো নিম্নমানের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এখানে দুই জেলার বিদ্যুৎ চালু রয়েছে। ফেনী জেলার বিদ্যুৎ লাইনে কোনো সমস্যা দেখা দিলে কুমিল্লা থেকে লাইন চালু করি। আবার ফেনীর লাইনে কোনো সমস্যা হলে কুমিল্লার লাইন চালু করি।

এ বিষয়ে ডিজিএম নীল মাদগ বণিক এর মুঠোফোনে বারবার কল দিও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বিদ্যুত,ভেলকিবাজি,অতিষ্ঠ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close