গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সুমন মিয়া নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

রবিবার (৮ মে) ভোরে উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্ত ওই যুবক হরতকিতলার হোসেন আলীর বাসা ভাড়া নিয়ে গ্যাসের চুলা মেরামতের কাজ করতেন এবং কবিরাজিও করতেন।

অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে ওই কিশোরীর নিজ বোনের বাসায় ধর্ষণের শিকার হয়। ওই কিশোরী মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েটির চিকিৎসার নাম করে মেঝেতে জায়নামাজ বিছিয়ে বসে সুমন মিয়া। তিনি কৌশলে বোন ও ভগ্নিপতিকে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস আনতে বাইরে পাঠিয়ে দেন। এ সুযোগে ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন সুমন। বোন ও ভগ্নিপতি ফিরে এসে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। তারা দরজা খুলে দেখেন, ভেতরে ওই কিশোরী বিবস্ত্র অবস্থায় কাঁদছে। তিনি তার বোনকে ধর্ষণের ঘটনা জানায়। এ সময় দৌঁড় দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

শনিবার রাতেই কিশোরীর বড় বোন বাদী হয়ে সুমনের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করেন।

কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ আকবর আলী খান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।