আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আমতলীতে আগুনে ৫ দোকান পুড়ে ছাই
আমতলীর নতুন বাজার বটতলা এলাকায় আগুনে পুড়ে গেছে ৫টি দোকান। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩টি অগ্নি নির্বাপক দল ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যাক্ষদর্শী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বেলা আড়াইটার সময় নতুন বাজার বটতলা এলাকার মুদিমনোহরি আলামিন স্টোর থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে মুহুর্তের মধ্যে তা পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পরে। একেএকে আলী আকব্বর এর বিসমিল্লাহ ভ্যারাইটিস স্টোর, ধানখালী টেলিকম, হোটেল রয়েল ও তোফাজ্জেলের একটি খবারের হোটেলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলামিন মুদি ও মনোহরি দোকান। এই দোকানে ঈদ উপলক্ষে প্রায় ২০-২৫ লক্ষ টাকার নতুন মাল তুলেছিল বিক্রির জন্য। নগদ ২ লক্ষ টাকাসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে বলে জানান দোকানের মালিক মো. কবির হাজী।
তিনি দোকানের পাশে আহাজারি করছিলেন আর বলছিলেন আগুনে সব শ্যাষ কইর্যা দিছে।
পাশেই রয়েছে বিসমিল্লাহ ভ্যারাইটি স্টোর্স। এই দোকানের নগদ লক্ষাধিক টাকাসহ প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মালিক মো. আলী আকব্বর কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, আগুন মোর সব শ্যাষ অইয়া গ্যাছে। নগদ টাকাসহ প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার মালামাল পুইর্যা গ্যাছে।
তোফাজ্জেলের খাবার হোটেলের ঘরটি পুড়ে সম্পূর্ন ছাই হয়ে গেছে। রয়েল হোটেল এবং তালুকদার টেলিকম আংশিক পুরে গেছে। তালুকদার টেলিকমের ওষুধ এবং অন্যান্য মনোহরি মালামালও পুড়ে গেছে।
আমতলী ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. গোলাম মস্তফা জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমতলী, কলাপাড়া ও পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ৩টি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
তিনি জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্র বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমতলী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মতিয়ার রহমান, আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. মজিবুর রহমান, আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।