নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
চৈত্রের বৃষ্টিতে ডুবেছে কৃষকের স্বপ্ন, খাদ্য ঘাটতির আশংকা
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে টানা ১০ দিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে কৃষকরে স্বপ্ন। বৃষ্টির পানিতে ডুবেছে নিম্নাঞ্চলের বোরো ধান। ধার দেনা করে লাগানো বোরো ক্ষেত পানিতে ডুবে পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা।
উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের আমতলা, ছিলা খানা, নাওডাঙ্গা, ধরকা বিল, রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা, বানারপার, পৌরসভার বানুর খামার, বোয়ালের দারা, বাগডাঙ্গা, রায়গঞ্জ ইউনিয়নের সাপখাওয়া বিল, বড়বাড়ী, হাজির মোড়সহ বেশ কিছু এলাকার খাল-বিল ও নিম্নাঞ্চলের পানিতে ডুবে গেছে হাজার হাজার বিঘা জমির ধান ক্ষেত।
অধিকাংশ জমির ধান গাছে শীষ বের হওয়ার উপক্রম। আবার কিছু কিছু ক্ষেতে বের হয়েছে ধানের শীষ। পানিতে ডুবে গেছে সেসব। ফলে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কায় কৃষকের চোখে মুখে দেখা গেছে হতাশার ছাপ। ঘরে ধান না উঠলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে তাদের।
উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের আমতলা এলাকার কৃষক আব্দুল কাদের জানায় তিনি ৩ বিঘা জমিতে আমতলা বিলে বোরো চাষ করেছেন। তারা প্রতি বছর বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ মণ ধান পায় সেখান থেকে। এবছর আর সেখানে ধান পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সবগুলোই পানিতে ডুবে পঁচে যাচ্ছে।
কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান জানায় তার ৮ বিঘা জমির ধান ক্ষেত পানির নিচে থাকায় নষ্টের পথে। তিন এই চাষাবাদ করতে গিয়ে মানুষের কাছে ২০ হাজার টাকা সুদের উপর নিয়েছেন। ধান না পেলে কোথা থেকে এ ঋণ পরিশোধ করবেন এ নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই তার।
তবে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, ১০ হেক্টর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হলেও ক্ষেতের তেমন ক্ষতি হবে না। যেসব ধান ক্ষেতে পানি জমেছে সেগুলো নেমে গেলে আর ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।