রংপুর ব্যুরো

  ৩১ মার্চ, ২০২২

নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঠিকাদার সমিতির প্রতীকী অনশন

রড, সিমেন্ট, পাথর বিটুমিনসহ সকল নির্মাণ সামগ্রীর লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং সকল সিন্ডিকেট চক্রদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে রংপুর ঠিকাদার সমিতির প্রতীকী অনশন করে।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ অনশন করে।

রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) মেয়র মো. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, নির্মাণ সামগ্রীসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, এতে সকলের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। রড, সিমেন্ট, পাথর বিটুমিনসহ সকল নির্মাণ সামগ্রীর লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি জাতীয় সংসদের উত্থাপনের জন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানসহ কয়েকজনকে অবগত করা হয়েছে। আশাকরি তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি মহান জাতীয় সংসদে উত্থাপন করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ঠিকাদাররা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে থাকে। আজ তারাই যদি না বাঁচে। তাহলে আমার মনে হয় আপনার সেই উন্নয়নশীল দেশে যাওয়ার যে টার্গেট তা সফল হবে না। আমার অনুরোধ থাকবে ঠিকাদার তারা আমাদেরই একটা অংশ। তাদের এই দাবির যেন প্রতিকার তারা পায়।

রংপুর ঠিকাদার সমিতির আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম দুলাল এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মো. রইচ আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতীকী অনশনে বক্তব্য রাখেন-প্রবীণ ঠিকাদার আতিয়ার রহমান মুন্নু, সংগঠনের যূগ্ম আহ্বায়ক মো. শফিকুল ইসলাম মিঠু, খায়রুল কবীর রানা, আবু আহমেদ সিদ্দিক পারভেজ, আব্দুর রব রাঙ্গা, শফিকুল ইসলাম যাদু, জাহিদুল ইসলাম রুবেল, নওরোজ হোসেন পল, অরুপ দত্ত, সদস্য আবু সামা, রবিউল ইসলাম রবি, রাহাত ইসলাম রনি, আশরাফুল ইসলাম বাবু, রাকিবুল করীম লোটাস, শাহী আলম সাগর আহমেদ জহির হোসেন শুভসহ অন্যান্য ঠিকাদাররা।

সময় বক্তারা বলেন, বর্তমানে প্রতিটি নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য দরপত্রের চুক্তি মূল্য থেকে গড়ে শতকরা ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে ইটের মূল্য শতকরা ৪০ ভাগ, পাথরের মূল্য ৮০ ভাগ, রডের মূল্য ৫০ ভাগ, সিমেন্টের মূল্য ৩৫ ভাগ, বিটুমিনের মূল্য ৪০ ভাগ, মোটা বালুর মূল্য ৩০ ভাগ, এমএস সীটের মূল্য ৫০ ভাগ, ফ্লাটবার এ্যাংগেলের মূল্য ৫০ ভাগ, টাইলসের মূল্য ২০ ভাগ, থাই গ্লাসের মূল্য ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্র কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি জানানো হয়।

ঠিকাদাররা অভিযোগ করে বলেন, দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় মূল কারিগর ঠিকাদাররা। এর সাথে ১০ লাখ ঠিকাদার এই শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছে। ছাড়া নির্মাণ শ্রমিক প্রায় এক কোটি। নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদারদের পক্ষে নির্মাণ কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
প্রতীকী অনশন,ঠিকাদার সমিতি,নির্মাণ সামগ্রী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close